২২ বছরে পা দিল 'ভায়াগ্রা', জানেন কীভাবে জন্ম হয়েছিল যৌন উত্তেজক এই ওষুধের?



Odd বাংলা ডেস্ক: ভায়াগ্রা— শব্দটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কেমন একটা লুকোচুরির সম্পর্ক। সকলেই জানেন এর ব্যবহার। কিন্তু, জনসমক্ষে এর নাম মুখে আনা যেন মহাপাপ। কখনও লজ্জা বা সংকোচেরও। কিন্তু, ভায়াগ্রা অবশ্যই কাজের, জানিয়েছেন এর ব্যবহারকারীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসার মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে, এই ‘মহৌষধ’-এর জন্য দেড় লাখ প্রেসক্রিপশন লেখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে এক সংবাদ প্রতিবেদন থেকে। এবং বিশ্ববাজারে আবির্ভূত হওয়ার আগেই, তা কালোবাজারের দৌলতে পৌঁছে যায় ইজরায়েল, পোল্যান্ড ও সৌদি আরবে। মার্কিন দেশে ভায়াগ্রার দাম তখন ১০ ডলারের কাছাকাছি হলেও, অন্যান্য দেশগুলিতে তা পাওয়া যেত পাঁচ গুণ বেশি দামে।

১৯৯০ সালের গোড়ার দিকের কথা। হৃদরোগ সারানোর জন্য, সিলদেনাফিল নামে একটি ড্রাগ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন ফাইজার নামে এক বিখ্যাত ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা। কিন্তু, হার্টের উপরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ওষুধটি। বদলে তা পুরুষদের যৌন ইচ্ছে বাড়িয়ে দেয় বলে জানান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই, ফাইজার নিদেজের পথ বদল করে। এবং, ১৯৯৮ সালে ২৭ মার্চ সবুজ সংকেত অর্জন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) সংস্থা থেকে। বাজারে বেরয় ভায়াগ্রা। সেই হিসেবে দেখলে ২২ বছর পার করল ভায়াগ্রা। বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশের পরে, ভায়াগ্রার নকল বেরতে সময় লাগেনি বেশি দিন। ফাইজার কম্পানি নিজেরাই একটি সমীক্ষা করে ২০১১ সালে। তাতে জানা যায়, অনলাইনে কেনা ভায়াগ্রার ৮০ শতাংশই নকল হয়। ফলে, এই ‘মহৌষধ’ কেনার আগে সাবধান!
Blogger দ্বারা পরিচালিত.