দেখাশোনা করে বিয়েতে, ফুলশয্যার রাত সম্পর্কে মেয়েদের মনে যে ১০টি প্রশ্ন আসে
Odd বাংলা ডেস্ক: বিয়ের পর প্রথম রাত অর্থাৎ ফুলশয্যার রাত এক দম্পতির জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় এক মুহূর্ত। যাইহোক, কনে এবং বর উভয়ের মনেই এই বিষয়টি নিয়ে অনেক সন্দেহ থাকে এবং মনে অনেক প্রশ্নও থাকে যতক্ষণ না বাস্তবে এই রাতের সম্মুখীন হয়। বিশেষত যদি এটি একটি দেখাশোনা করে বিয়ে হয়, মেয়েটি খুব ঘাবড়ে যায় এবং তার মনের মধ্যে অসংখ্য প্রশ্ন থাকে। মেয়েটির কাছে শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ একেবারেই নতুন হয় এবং কখনো কখনো এমনও হয় বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে দেওয়ায়, মেয়েটি তার স্বামী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারে না। স্বভাবতই তার মনে একটা গোপন ভয় কাজ করে এবং মাথায় হাজারো প্রশ্ন ঘুরতে থাকে।
আজ আপনাদের সামনে এরকমই ১০টি কমন প্রশ্ন নিয়ে এসেছি, যেগুলি ফুলশয্যার রাত সম্পর্কে বেশিরভাগ মেয়ের মাথাতেই আসে। আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১. যদি আমি শরীরের গোপন অঙ্গে আর বাকি অংশে ওয়াক্সিং না করায় তাহলে আমাকে লোমশ দেখে ও কি মনে করবে?
শারীরিক চুল পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই সাধারণ, আপনার এটি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়ার সেরকম কোনো কারণ নেই। সেরকম একান্তই প্রয়োজন বোধ করলে শরীরের গোপন অংশের চুল ছোট করে ছেঁটে ফেলুন, যদি ওয়াক্সিং করাতে আপনার ভয় লাগে।
২. আমার শারীরিক গঠন নিয়ে ও কি ভাববে? ও কি ভাববে আমি কি খুব মোটা না খুব রোগা?
এই বিশ্বে কেউ নিখুঁত নয়। আমাদের সবারই শরীরে কিছু ত্রুটি আছে বা কোনো দাগ আছে বা রয়েছে মেদ। নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে দূর করতে হবে। মনে রাখবেন বিয়ে শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণ বা সেক্সের জন্য নয়। সে আপনাকে একজন মানুষ হিসেবেই ভালোবাসবে। আপনার গুণাবলী দেখে সে প্রভাবিত হবে, আপনার শরীরের গঠন দেখে নয়।
৩. আমি কোনোদিন হট জামাকাপড় পরিনি। বিয়ের রাতে কি সেক্সি অন্তর্বাস পরতে হবে?
না , এটা কোনোমতেও নয়। আপনি যেটা পড়বেন শুধু খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন রুচিসম্মত হয় এবং আপনাকে মানায়। নিজের সাজগোজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। মেয়েদের শাড়িতেও যথেষ্ট উত্তেজক লাগে। আর আপনি যদি চান, তাহলে হট অন্তর্বাস পড়তেই পারেন, সেটি আপনাদের রোম্যান্সে অন্য মাত্রা যোগ করবে।
৪. একজন অপরিচিত ফুলশয্যার রাতে আমার জামাকাপড় খুলবে, এটা আমি কি করে হতে দেবো?
অনেক কনের মনেই এই উদ্বেগ আছে, কিন্তু যখন সব ঘটেছে নিজেরই মনে হবে এটাকে জাদুময় মুহূর্ত। আপনি শুরুতে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন কিন্তু তিনি হাত ধরলে এবং তারপর চুম্বনের একটি মৃদু স্পর্শে আপনি আরামদায়ক বোধ করবেন। পরে, আপনি সেই প্রবাহের সঙ্গে যেতে থেকে নিজেকে থামাতে পারবেন না।
৫. আমি কোনোদিন কারও সাথে সেক্স করিনি, কিন্তু অন্যান্য কারণে নিজের ভার্জিনিটি হারিয়েছি। প্রথম রাতে যদি রক্ত না বের হয় তখন ও কি মনে করবে?
সেই সমস্ত পুরনো চিন্তা-ভাবনার দিন চলে গেছে। লোকজন এখন অনেক বেশি শিক্ষিত, ছেলেরাও জানে যে, একটি মেয়ে বিভিন্ন কারণে কুমারিত্ব হারাতে পারে। সবসময় খেয়াল রাখবেন, বিশ্বাসই হল একটি সম্পর্কের ভিত্তি। আপনার স্বামী যদি আপনাকে বিশ্বাস করে তাহলে এই ধরণের বোকার মত প্রশ্ন সে কখনই করবে না।
৬. আমি কি খুব ব্যথা পাবো? আমি কি ব্যথা সহ্য করতে পারবো?
অনিবার্যভাবে, প্রথমবারের জন্য যখন সেক্স করা হয় তখন ব্যথা হয় তখন ব্যথা হয়, তবে সেই ব্যথা একেবারেই অসহ্য এমনটা নয়, যদি না আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে। আরো কি, আপনি দ্বিধা ছাড়াই আপনার স্বামীর সঙ্গে সমস্যা শেয়ার করতে পারেন। তিনি তা বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।
৭. কিভাবে বলবো আমি এখুনি এসব করতে চাই না? ও কি রেগে যাবে?
না, তিনি রাগ করবেন না কারণ আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যদি আপনি ফুলশয্যার রাতে আরামদায়ক না হন, তাহলে তাকে নম্রভাবে বলুন এবং তিনি আপনাকে বাধ্য করবেন না কারণ এটি একমাত্র রাত নয়, এসব শুরু করার জন্য আরো অনেক রাত থাকবে।
৮. আমি কি ওনার অপেক্ষা করবো না নিজে থেকেই এগিয়ে যাবো?
সেই সময় এখন চলে গেছে, নববধুরা লম্বা ঘোমটা টেনে খাটে বসে স্বামীর অপেক্ষা করবে। আপনার এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এগিয়ে, নিজের ইচ্ছাকে দমন করার কোনো কারণ নেই। অনেক পুরুষই পছন্দ করেন স্ত্রীরা আগে এগিয়ে আসুক মিলনের ব্যাপারে।
৯. যদি সে ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে পরে বা আমি যদি ঘুমোতে চাই, তাহলে উনি কি রেগে যাবেন?
দুটো ক্ষেত্রেই কারোরই রাগ করার কোনো কারণ নেই। কারণ বিয়ের রীতি-রেওয়াজ পালন করে সারাদিন সবাই ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই ঘুমিয়ে পরতেই পারেন। সেই ক্ষেত্রে দু’জনের ভালোবাসার সম্পর্কের অপেক্ষা একটু দীর্ঘায়িত হয়।
১০. কিভাবে তাকে বলবেন যে আমি বিবাহের পর মাতৃত্বের পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই না এবং কিছু সময় প্রয়োজন?
বিয়ের প্রথম রাত শুধুমাত্র শারীরিক ঘনিষ্ঠতার জন্য নয়, পরস্পরের অনুভূতিও এতে কাছাকাছি আসে। যদি আপনার মনে হয় আপনি মাতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নন তাহলে সেটা আপনার সঙ্গীর সাথে আলোচনা করুন। সে যদি আপনার কথায় রাজি না হয়, তাকে আপনার কেরিয়ারের সম্পর্কে বোঝান। মতামতের আদান-প্রদানের মাধ্যমেই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। সে নিশ্চয় আপনার কথা শুনবে।
এইগুলিই ছিল আয়োজন করা বিয়ে নিয়ে মেয়েদের মনে ওঠা ১০টি প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা। আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে জানান।
Post a Comment