পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলার ওপর আমফানের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে?


Odd বাংলা ডেস্ক: একে রামে রক্ষে নেই, তায় সুগ্রীব দোসর। এমনিতে করোনা আতঙ্কে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, তারমধ্যে জুড়েছে ঘূর্ণিঝরের আতঙ্ক! অর্থাৎ করোনার পাশাপাশি এবার বাংলার মানুষকে লড়তে হতে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফানের সঙ্গে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যেভাবে গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। আবহাওয়া দফতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়েছে তা শনিবার বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে । আবহওয়াবিদরা জানাচ্ছে, ১৮ থেকে ২০ তারিখ ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিয়ে উত্তর পূর্ব দিকে এগোতে থাকবে। এই পাঁচ-ছ’দিন তামিনাড়ু, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে একটানা ৮০কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। আবহাওয়া দফতরের সাম্প্রতিক টুইট অনুযায়ী, ওই নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ওড়িশা উপকূল জুড়ে এর জেরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। 

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও উত্তর ২৪ পরগণার ওপর আমফানের প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি।  ওড়িশার ১২ টি উপকূলীয় জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, সেখানকার উপকূলীয় অঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিতেও ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এর জেরে প্রভাবিত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গও। এরাজ্যেও হয়ে পারে প্রবল ঝড়বৃষ্টি। আগামী ৫-৬ দিন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি, আবার কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.