ফাঁসির সাজার পর বিচারক কেন পেনের নিব ভেঙে দেন?



Odd বাংলা ডেস্ক: ফাঁসির সাজা তাদেরই হয় যারা এই সমাজে থাকার অধিকারি নয়। কিন্তু যখনই বিচারক কোনও আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন, তা সিনেমায় হোক কী বাস্তবে, তখন তিনি পেনের নিব কেন ভেঙে দেন? কখনও কী এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন? কখনও কী ভেবে দেখেছেন এমন কাজের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? একথা সত্যি যে বিচার ব্যবস্থার সেই আদি কাল থেকেই কাউকে ফাঁসির সাজা দেওয়ার পরে পেনের নিব ভাঙার রেওয়াজ আছে। কিন্তু কেন? আর অপেক্ষা নয়। এই প্রবন্ধ পড়ে এবার জেনে নিন নিব ভাঙার পিছনে আসল কারণ কী-

এটা একটা প্রতীকী অভিব্যক্তি:

এটা আসলে একটা ধারণাকে স্থাপন করে। ধারণাটা হল, যে অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে সেই একই ধরনের অপরাধ যাতে আর কেউ না করে। আর যে পেনের ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে সেই পেনটিও যাতে আর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা না যায় তাই বিচারক পেনের নিবটি ভেঙে দেন।

পেনটি কলঙ্কিত হয়ে যায়:

মনে করা হয়, যে পেনের সাহায্য়ে মৃত্যুদণ্ডের ফরমান লেখা সেটি নাকি কলঙ্কিত হয়ে যায়। তাই পেনের নিব ভেঙে ফেলার মাধ্যমে বিচারক দেখাতে চান এই রায় ঘোষণার পরেই তার সঙ্গে ওই কেসের আর কোনও সম্পর্ক থাকছে না।

অন্য কেউ যাতে একই অপরাধ না করে:

মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হতে পারে এমন অপরাধ যাতে আর কেউ করার সাহস না পায় তা বোঝাতেই বিচারক এই কাজটি করে থাকেন। তিনি পেনের নিব ভাঙার মাধ্যমে বাকিদের বোঝাতে চান যে এমন ঘৃণ্য কাজ করলে শাস্তিও হবে ভয়ানক।

আদি বিশ্বাসের বাস্তবায়ন:

এক সময় মনে করা হত, যে আদালত ৭০ বছরে একবার হলেও কাউকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সেই আদালত প্রাঙ্গন রক্তে ভিজে যাবে। কারণ প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কাউকে মেরে ফেলা মোটেই সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। আর তা বোঝাতেই প্রতি মৃত্যুদণ্ডের পর পেনের নিভ ভেঙে দেওয়ার রেওয়াজ চালু আছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.