হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে এক পরিবারের তিন সদস্য আত্মঘাতী!


Odd বাংলা ডেস্ক: রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুরের সত্যনারায়ণ পল্লিতে। বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছেলের মৃতদেহ। বৃদ্ধ গৃহকর্তা দেহের পাশে চক দিয়ে লেখা 'আমরা তিনজনই মৃত'। বৃদ্ধের মৃতদেহের পাশে ছিল বিষের পাত্র। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান তাঁরা সপরিবারে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশীরা। 

জানা গিয়েছে, স্ত্রী রুনু ও বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে দেবাশিসকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন গৃহকর্তা গোবিন্দ কর্মকার। স্থানীয়দের দাবি, অনেক বছর আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। তারপর কীভাবে তাঁদের সংসার চলত তা জানেন না প্রতিবেশীরা। তবে অনেকদিন ধরেই আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি বৃদ্ধের স্ত্রী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধও। 

প্রতিবেশীদের দাবি, আজ সকালে কারওর সাড়া না পাওয়ায়, দরজা খুলে দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ৮০ বছরের গৃহকর্তার মৃতদেহ। খাটের উপর বৃদ্ধের ৭০ বছরের স্ত্রী ও বছর আটচল্লিশের ছেলের মৃতদেহ রয়েছে। দেহের পাশে চক দিয়ে লেখা 'আমরা তিনজনই মৃত'। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে, খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।

প্রতিবেশিদের দাবি, রবিবার পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। ঠাকুরপুকুর থানাকে জানানো হলে, বেশ কয়েকঘণ্টা পরে পাঠানো হয় অ্যাম্বুল্যান্স। এরপর বিভিন্ন হাসপাতালে বৃদ্ধকে ভর্তি করা নিয়ে চলে তীব্র টানাপোড়েন। দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সেই পড়ে থাকেন তিনি। এরপর কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রতিবেশীদের অনুমান, স্ত্রী ও ছেলের অসুস্থতার কথা ভেবেই হয়তো মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি! 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.