অর্থের অভাবে খেলোয়াড় থেকে পর্নস্টার হয়ে গেলেন এই ক্রীড়াবীদ
Odd বাংলা ডেস্ক: অর্থাভাব যে মানুষকে জীবনজোয়ারের কোন পর্যায়ে নিয়ে যায় তার প্রমাণ মিলল এই ক’রোনা ভাই’রাস সংক্র’মণকালে। শুধু ভারতেই নয়। গোটা বিশ্বেই চিত্রটা প্রায় এক। এই যেমন, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মহিলা সুপারকার ড্রাইভার অর্থ সংকটে প’র্ন ইন্ডাস্ট্রির দিকেই ঝুঁকেছেন। কার রেসিং চিরতরে বন্ধ করে দিয়ে সুপারকার ড্রাইভার রিনি গ্রেসি-র নতুন জীবিকা প’র্নস্টার!
২৫ বছরের রিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম যে মহিলার কার রেসার তাই নয়। সে দেশে তিনিই প্রথম ফুলটাইম মহিলা সুপারকার ড্রাইভার। বিগত কিছু দিন ধরেই চূড়ান্ত অর্থকষ্টে দিনযাপন হচ্ছিল তাঁর।
কিন্তু এই দুনিয়া এক লহমায় মিটিয়ে দিয়েছে সেই সংকট। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ‘জীবনে আজ অবধি যা যা করেছি, এটাই সেরা।’
গ্রিনি রেসির কথায়, “বিশ্বাস করুন আর নাই বা করুন, তবে আমার বাবা আমাকে এই কাজে নামার জন্য প্রচণ্ড সমর্থন করেছেন। এক কথায় বলতে পারেন, আমার বাবা গর্বিত। আজ অবধি আমি কী অর্জন করেছি সেটা দেখলে হবে না। দেখতে হবে আমি এখন কী করছি!”
কিন্তু কেন ছাড়তে হল কার রেসিং? রিনির কথায়, ফান্ডিংয়ের খুবই অভাব দেখা দিয়েছে। আর তার সঙ্গে করোনার থাবায় কার রেসার হিসেবে এই মুহূর্তে টিকে থাকাই তাঁর কাছে একটা অনিশ্চিত জীবন হয়ে দাঁড়াত। জীবনে এখনও অবধি ১৭টি তাবড় রেসে অংশগ্রহণ করেছেন রিনি।
ফাইনাল সুপার টু সিজনে প্রথম দশ কার রেসারের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে সুইশ ড্রাইভার সিমোনা ডে সিলভেস্ট্রোর সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্বাদশ স্থান অধিকার করেছিলেন রিনি গ্রেসি।
নতুন জীবিকায় আদতে নিজের গরম ছবি তুলতে হবে আর তা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রিনির আর্জি, লোকে যেন মাথায় রাখেন, এত দিন তিনি কী কী অর্জন করেছেন! তাঁর কথায়, “আমি রেসিংয়ে খুব একটা ভালো ছিলাম না। রেসিং বন্ধ করে দিয়েছি। ওই অধ্যায় এখন বন্ধ। এই প্রফেশনে আমাকে দেখে অনেকেই কটুকথা বলেছেন কারণ আমি আগে কী করেছি, সেটা তাঁদের জানা।”
পোর্শে ক্যারেরা কাপ অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে ২০১৩-১৪ সালে রেসিং দুনিয়ায় পা রাখেন রিনি। ২০১৫ সালে সুপার টু সিরিজে নাম লেখান। এরপরেও সুপারকারস ডানলপ সিরিজ, ড্রাগন রেসিংয়ের মতো আরও নামজাদা সব প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও যোগ করে রিনি বললেন, “আমি রিনি ছিলাম, আছি আর থাকব। আমার এখনও চাকরি রয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে আমার জীবনে কোনও পরিবর্তন হয়নি।” এই মুহূর্তে তিনি প্রতি সপ্তাহে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার রোজগার করেন।
Post a Comment