লকডাউনে কমেছে দূষণ, স্বচ্ছ জলের নীচে দেখা দিল ১৬০০ বছরের পুরনো গির্জা


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস যেমন নির্বিচারে কেড়ে নিয়েছে মানুষের প্রাণ, তেমনই তলিয়ে দেখলে করোনার জেরে এই লকডাউনের কিন্তু একটা সুফল রয়েছে। লকডাউনে মানুষের দৈন্দদিন কার্যকলাপ অনেকাংশে ব্যহত হওয়ার জন্যই কিন্তু বায়ু এবং জল দূষণের মাত্রা অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। যার ফলে কালের নিয়মে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন আজ দৃশ্যমান হচ্ছে, যা কয়েক দশকে চোখে পড়েনি। 

উদাহরণস্বরূপ তুরস্কের প্রাচীন একটি গির্জা যা তুরস্কের ইজনিক লেকের তীরে জলের প্রায় ১০ ফুট (৩ মিটার) গভীরে অবস্থিত। ইজনিক লেকের কিনারা থেকে প্রায় ১৬০ ফুট (৫০ মিটার) দূরত্বে অবস্থিত। যা গত কয়েক দশকে জলের তলায় নিমজ্জিত অবস্থায় ছিল। সূত্রের খবর, জলের তলায় লুকিয়ে থাকা এই গির্জাটি প্রথম দৃশ্যমান হয়েছিল ২০১৪ সালে। জানা যায়, গির্জাটি গত ১৬০০ বছর ধরে জলের তলায় নিমজ্জিত ছিল। লকডাউনের জেরে জল এবং বায়ুদূষণের হার কয়েক গুণ কমে যাওয়ার পর অবশেষে তা দৃশ্যমান হল। ইতিহাসবিদরা বলেন সেন্ট নিওফিটোসের স্মৃতির উদ্দেশে সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। 




রোমান সৈন্যদের হাতে নিহত হওয়ার পর নিওফিটোসকে এই চার্চেই সমাধিস্থ করা হয়। এরপর ৭৪০ খ্রিস্টাব্দে ভয়াল ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়ছিল এই গির্জাটি এবং কালের নিয়মে তা এই হ্রদের জলে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা এই গির্জার নীচে কোনও পৌত্তলিক মন্দির আছে। সুপ্রাচিন এই গির্জাটি দীর্ঘদিন ধরে জলের তলায় নিমজ্জিত থাকায় খুব স্বাবাবিকভাবে তা ঢেকে গিয়েছে শেওলায়। আর এই লকডাউনে দূষণের মাত্রা অনেক কমে যাওয়ায় তা খুব ভালভাবে দেখা যাচ্ছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.