লাদাখের আকাশে উড়ছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান, আতঙ্কিত সীমান্তের ভারতীয়রা



Odd বাংলা ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ব্যাপক উত্তেজনা। ক্রমশ যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে ধাবমান হচ্ছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চিন-ভারত। সোমবার মধ্যরাতে চিনা সেনাদের হামলায় অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় সীমন্তে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যেভাবে টেনশন বাড়ছে তাতে অনেকেই অশনি সঙ্কেত দেখতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে প্রতিশোধ নিতে সীমান্তে যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে ভারত। 

চিনও পিছু হটেনি, বরং উত্তেজনা বাড়িয়ে সেনা বৃদ্ধি করে চলেছে। জানা যাচ্ছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে ক্রমশ সেনা বাড়িয়ে যাচ্ছে পিপলস আর্মি। শুধু তাই নয়, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, গালওয়ানে নদীর পানি প্রবাহ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর তা করতে চিনা বাহিনী বুলডোজার এনেছে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা রণকৌশল ভারতের। লাদাখ পাঠানো হয়েছে যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার। সংবাদসংস্থা এনএনআই প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, লাদাখের আকাশে একের পর এক উড়ছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এর আগে বুধবার দুই দিনের সফরে, গালওয়ানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে লাদাখ যান ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান কে এস ভাদুরিয়া। দু'দিনের ঝটিকা সফরে লাদাখ ও শ্রীনগরের বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন বিমানবাহিনী প্রধান। 


তার পরই শুরু হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এই তৎপরতা। অন্য দিকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বিমানবাহিনীকে। যে কোনো রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফরওয়ার্ড বিমান ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। কে এস ভাদুরিয়ার পরিদর্শনের পরেই শুরু হয়েছে আকাশপথে ভারতের তৎপরতা। এ দিন সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে একাধিক যুদ্ধবিমান, সামরিক হেলিকপ্টার, চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার, পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টার-ও (কার্গো বিমান)। এই হেলিকপ্টারগুলোর মাধ্যমে বিপুল সেনা ও রসদ মজুত করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর সূত্রে খবর মিলেছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিনকে পাল্টা চাপে রাখতে কৌশল শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।

 শুধু তাই নয়, হঠাৎ করে যদি কোনো সীমান্তের ওপার থেকে চিনের যুদ্ধবিমান ছুটে আসে তা যাতে মুহূর্তে রুখে দেওয়া যায় সেজন্যেও এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৪৫ বছর পর প্রথম ভারত-চিন সীমান্তে নিহত হলেন ভারতের সেনা সদস্যরা। ১৫ জুন লাদাখে চিনা ও ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.