আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত, হু হু করে বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ


Odd বাংলা ডেস্ক: মারণ করোনাভাইরাস মহামারির প্রাথমিক ধাক্কা সামলে যুক্তরাষ্ট্র ধাপে ধাপে সবকিছু খুলে দেওয়ার পথে এগোনোর মুখেই কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকে ঘিরে চলতে থাকা বিক্ষোভের জেরে আগামী দিনে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নর, শহরের মেয়র এবং সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

কোনও কোনও রাজ্যে বিক্ষোভকারীরা বেশিরভাগই সামাজিক দূরত্ববিধি মানছেন না এবং মাস্কও পরছে না বলে অভিযোগ। আবার মাস্ক পরলেও এমন বিপুল জনসমাবেশে যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটবে না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বিশেষত করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই এমন বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকেই ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি বিক্ষোভ মোকাবেলায় নিযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুসারে, আমেরিকায় করোনাভাইরাসে ১৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত, অনেক আগেই মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। কেবল নিউ ইয়র্কেই মারা গেছে ২১ হাজারের বেশি মানুষ। পুলিশের নিপীড়নে ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকার অন্যান্য রাজ্যের মতো নিউ ইয়র্কেও সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। ফলে সেরাজ্যে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থেকে ভাইরাস আবারও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। 

‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা সূত্রে খবর, নিউ ইয়র্কের গভর্নর কুমো সোমবার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা আর এক সপ্তাহের মধ্যেই নিউ ইয়র্ক শহরে বিধিরনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ নেবেন। আর এরই মধ্যে কয়েকদিন ধরে যেহারে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যাচ্ছে তাতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, এতদিন সবাই লকডাউনে কাটিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছে। আর এখন টিভি খুললেই দেখা যাচ্ছে শ'য়ে শ'য়ে মানুষের জমায়েত। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এতকিছু করার পর এখন এই জমায়েত থেকে আরও কযেক শ' মানুষ সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।'
Blogger দ্বারা পরিচালিত.