আকাশ ছুঁল চা বিক্রেতার মেয়ে, ভারতীয় বায়ুসেনা একাদেমীতে প্রথম স্থান পেলেন আঁচল গাঙওয়াল
Odd বাংলা ডেস্ক: কথায় বলে, মন থেকে কিছু চাইলে প্রবল একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে যদি সেই লক্ষে এগিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কোনও কাজই অসম্ভব নয়। ঠিক তেমন করেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল মধ্যপ্রদেশের নিমুচ জেলায় বসবাসকারী এক সামান্য চা-বিক্রেতা সুরেশ গাঙওয়ালের মেয়ে আঁচল গাঙওয়াল। মেয়েকে টিভির পর্দায় দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সুরেশবাবু। মেয়ের জন্য আজ গর্বে বুক ভরে গিয়েছে বাবার।
ফ্লাইং অফিসার আঁচল গাঙওয়াল শনিবার ভারতীয় বায়ুসেনা একাদেমী থেকে স্নাতক হলেন, পেলেন রাষ্ট্রপতির ফলকও। মধ্যপ্রদেশের নিমুচ জেলা থেকেই একটি সরকারি কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গ্র্যাজুয়ে হয়েছেন আঁচল। এরপর মধ্যপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসনে একজন সাব-ইন্সপেক্টর হিসাবে যোগদান করেন। পরে শ্রম পরিদর্শকের (লেবার ইন্সপেক্টর) পদ পাওয়ার পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। আঁচল জানান, বায়ুসেনায় যোগদানের আগে তিনি আট মাস এই চাকরি করেছেন।
তবে গ্র্যাজুয়েশনের পর থেকেই তিনি AFCAT-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। এরপর টানা ৬ বারের প্রটেষ্টার পর তিনি SSB-তে সুপারিশ পান।agar jazbaa ho to wah paise ko bhi maat dedeta hai kewal jazbe, lagan aur mehnat ki wajah se ketne ghareeb IAS, IPS etc ban jaate ab— Sibghatullah Mohd (@sibghatullahmo2) June 24, 2018
Madhya Pradesh tea seller's daughter makes it to IAF pic.twitter.com/cBwV8FUS5I
বাস্কেটবল কোর্ট থেকে ককপিটে যাত্রা-
জাতীয় স্তরের বাস্কেটবল খেলোয়াড়, ফ্লাইং অফিসার অন্তরা মেহতা, (যিনি ঘুব শীঘ্রই ফাইটার জেট ওড়াবেন), সবসময়ই একটা রোমাঞ্চকর জীবন যাপন করতে চাইতেন। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষালাভ করতেন। আর সেই কারণেই তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্লাইং ব্রাঞ্চে যোগ দেন এবং ফাইটার্স স্ট্রিমের অনুমোদন পান। তাঁর পরিবার থেকে তিনিই প্রথম যিনি বায়ুসেনায় যোগ দিলেন।
ছোটবেলার স্বপ্ন সত্যি হল আজ-
নিজের স্বপ্ন পূরণের সমস্ত কৃতিত্ব আঁচল তাঁর বাবাকেই দিয়েছেন। তাঁর কথায়, তাঁর বাবা সারা জীবন ধরে তাঁর সন্তানদের (দুই মেয়ে এবং এক ছেলে) মানুষ করার জন্য যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন আজ তারই ফল এই সম্মান। আঁচল বলেন, তিনি প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখতেন যে, একদিন ইউনিফর্ম পরে তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সামনে দাঁড়াবেন। যাঁরা এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁর জন্য সমস্ত স্বার্থত্যাগ করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে করোনা পরিস্থিতির জন্য এই স্বপ্ন হয়তো পূরণ হয়নি। কিন্তু টিভির পর্দায় মেয়ের এত বড় সাফল্য দেখে গর্বে-আনন্দে চোখের জল সামলাতে পারেননি আঁচলের বাবা-মা।
Post a Comment