এখনও বায়না হল না, দূর্গাপুজো আদৌ হবে তো? চিন্তার ভাঁজ ঢাকিদের কপালে
Odd বাংলা ডেস্ক: থেমে গিয়েছে ঢাকের আনন্দের বোল ধিক ধিক ধিনা ধিন নাতিং। শুরু হয়েছে বিষাদের বোল ধিক ধিনা নাতিং ধিধিং ধিনা। পুজো নেই, তাই ঢাকিদের আয় নেই। ঢাকশিল্পীরা লোকশিল্পী হলেও মেলেনি সরকারি পরিচয়পত্র। তাই মিলছে না সরকারি অনুদান। তারই মধ্যে লকডাউনের জেরে বন্ধ পেশা। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন মালদার ঢাকশিল্পীরা।
জানা গিয়েছে, মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দশ হাজারেরও বেশি ঢাকশিল্পী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হাতেগোনা জনা পঁচিশেক শিল্পীর সরকারি পরিচয়পত্র রয়েছে। বাকিরা পরিচয়পত্রের জন্য প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও আজও মেলেনি। ফলে চরম সংকটে রয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ঢাকশিল্পীরা সরকারের কাছে সাহায্যের দাবি তুলেছেন। ঢাকশিল্পী রাম রবিদাস বলেন, আমরা পাঁচ পুরুষ ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। আমারও বয়স হয়ে গেল পঞ্চান্ন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি কোনও দিন। সাধারণ সময় পুজোমণ্ডপ কিংবা লোকের বাড়িতে ঢাক বাজিয়ে মাসে ছয়-সাত হাজার টাকা আয় করতাম। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ঘরে কোনও টাকাই আসেনি। যেটুকু জমাতে পেরেছিলাম সবটাই শেষ। এখন ঋণ করে চলতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার সাহায্য না করলে বেঁচে থাকাটাই সমস্যা হয়েছে দাঁড়াবে। তিনি জানান, রশিলাদহের বৃদ্ধ ঢাকশিল্পী ধীরেন রবিদাস সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারছেন না।
কিন্তু আজ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি কোনও দিন। সাধারণ সময় পুজোমণ্ডপ কিংবা লোকের বাড়িতে ঢাক বাজিয়ে মাসে ছয়-সাত হাজার টাকা আয় করতাম। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ঘরে কোনও টাকাই আসেনি। যেটুকু জমাতে পেরেছিলাম সবটাই শেষ। এখন ঋণ করে চলতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার সাহায্য না করলে বেঁচে থাকাটাই সমস্যা হয়েছে দাঁড়াবে। তিনি জানান, রশিলাদহের বৃদ্ধ ঢাকশিল্পী ধীরেন রবিদাস সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারছেন না।
সত্তরোর্ধ্ব ঢাকশিল্পী শৈলেন রবিদাস বলেন, আমরাও পাঁচ পুরুষ ধরে ঢাক বাজিয়ে আসি। এখন রোগ ধরেছে আমাকে। বেশিক্ষণ ঢাক বাজালেই শ্বাসকষ্ট হয়। কিন্তু আজও সরকারি পরিচয়পত্র মেলেনি। পরিচয়পত্র না মিললে ভাতা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অথচ একটা সময় ছিল যখন প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় ঢাক নিয়ে আমি যেতাম শিলিগুড়ি, দিল্লি কিংবা মুম্বইয়ে। দিল্লি, মুম্বইয়ে বাঙালিদের দুর্গোপুজোতে ঢাক বাজিয়ে অনেক টাকা আয় হত। যা দিয়ে চলে যেত বেশ কয়েটা মাস। কিন্তু এবছর যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে না এবার বাইরে যেতে পারব। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আরও সংকটজনক অবস্থায় পড়ে যাব আমরা। সরকারের উচিত আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
শুধু ধীরেন রবিদাসই নন, এরকম বহু ঢাকশিল্পী রয়েছেন যাঁরা লকডাউনের জেরে সংকটে পড়েছেন।
লোকশিল্পীদের নেতা রথিন বিশ্বাস বলেন, মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৮০০ জন পরিচয়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকশিল্পী রয়েছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। এই ঢাকশিল্পীদের পরিচয়পত্রের জন্য আমরা কয়েবাকর প্রশাসনের আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁদের পরিচয়পত্র মেলেনি। মালদা জেলায় বহু লোকশিল্পী থাকলেও তাঁরা ভাতা পান না। অথচ পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে ত্রিশ হাজারেরও বেশি লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র রয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাতাও পান। লকডাউন শিথিল হলেই আমরা ঢাকশিল্পীদের পরিচয়পত্রের দাবিতে জেলা শাসকের দপ্তরে যাব।
লোকশিল্পীদের নেতা রথিন বিশ্বাস বলেন, মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৮০০ জন পরিচয়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকশিল্পী রয়েছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। এই ঢাকশিল্পীদের পরিচয়পত্রের জন্য আমরা কয়েবাকর প্রশাসনের আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁদের পরিচয়পত্র মেলেনি। মালদা জেলায় বহু লোকশিল্পী থাকলেও তাঁরা ভাতা পান না। অথচ পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে ত্রিশ হাজারেরও বেশি লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র রয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাতাও পান। লকডাউন শিথিল হলেই আমরা ঢাকশিল্পীদের পরিচয়পত্রের দাবিতে জেলা শাসকের দপ্তরে যাব।
Post a Comment