নিত্য ব্যবহার্য্য জিনিসগুলিরও রয়েছে এক্সপায়ারি ডেট, জানেন কি?
Odd বাংলা ডেস্ক: বাজার থেকে যেকোনো জিনিস কেনার আগে
তার উৎপাদনের তারিখ এবং এক্সপায়ারি ডেট দেখে কিনতে হয় একথা আমরা সকলেই জানি। যেকোনো জিনিসের এক্সপায়ারি ডেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ তা থেকেই আমরা জানতে পারি জিনিসটি কতদিন ব্যবহার করা যাবে। কিছু কিছু লোকজন আছেন যারা এক্সপায়ারি ডেটের তোয়াক্কা না করেই কোনো নির্দিষ্ট দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে, যার দরুণ অনেক সময়ই তাদের বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে বর্তমানে ক্রেতারা অনেক বেশি সতেচন, যেকোনো জিনিস কেনার আগে এক্সপায়ারি ডেট দেখে তবেই কেনেন। কিন্তু এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলি আমরা নিত্যদিন ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু তাদের এক্সপায়ারি ডেট জানি না। আজ আপনাদের এমন কিছু জিনিসের নাম বলবো, যেগুলির এক্সপায়ারি ডেট আপনি হয়তো জানেন না।
১। টুথব্রাশ
প্রথমেই বলবো টুথব্রাশের কথা, যেটি আমারা রোজ ব্যবহার করি কিন্তু এক্সপায়ারি ডেট সম্বন্ধে ধারণা নেই। একটা টুথব্রাশের জীবনকাল ৩ মাস। তার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলানো উচিৎ। একথা অনেক ডেন্টিস্টও বলে থাকেন।
২। হেয়ার ব্রাশ বা চিরুনি
চিরুনি আমরা রোজ ব্যবহার করে থাকি। নিত্য ব্যবহারের ফলে এটি নোংরাও হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার চিরুনি পরিস্কার করা উচিৎ। আর একবছর পর পুরানো চিরুনি বদলে নতুন চিরুনি কেনা দরকার।
৩। মহিলাদের অন্তর্বাস
নিত্যদিনের ব্যবহারের ফলে এটির আকার পরিবর্তন হয়। তাই ১-২ বছর অন্তর এটি পরিবর্তন করা উচিৎ বা চাইলে তার আগেও করতে পারেন।
৪। তোয়ালে
এটিও একটি নিত্য ব্যবহার্য্য জিনিস। স্নানের পর গা-হাত মোছার জন্য অনেকে ব্যবহার করেন, আবার অনেকেই খাওয়া-দাওয়ার পর হাত ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে হাত মোছেন। তোয়ালে খুব তাড়াতাড়ি নোংরা হয় তাই এটি মাঝে-মধ্যেই সাবানে কেচে পরিস্কার রাখা উচিৎ। আর তোয়ালে ১-৩ বছরের মধ্যে পাল্টান।
৫। পেসিফায়ার
বাচ্চাদের কান্না চুপ করানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এটিকে অবশ্যই গরম জলে পরিষ্কার করা দরকার মাঝে-মধ্যেই। এটি ২ মাসের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
৬। স্পঞ্জ
আজকাল প্রায় সকলেই ব্যবহার করে থাকেন বাসন মাজার জন্য। কিন্তু এগুলি ২ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কারণ এগুলিতে বিভিন্ন জীবাণুর সৃষ্টি হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৭। স্লিপার বা হাওয়াই চটি
আপনি হয়তো ভাবছেন হাওয়াই চটির আবার এক্সপায়ারি ডেট? আপনাদের বলে রাখি, চটি ৬ মাস অন্তর চেঞ্জ করাই শ্রেয় নাহলে পায়ে নানাধরণের ফাঙ্গাল ইনফেকশান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৮। পাওয়ার সকেট
এমনিতে এটার কোনো এক্সপায়ারি ডেট হয়না। কিন্তু অনেক সময়ই এগুলি পুরনো হয়ে গেলে ঠিকঠাক কাজ করেনা। তাই ৫-৬ বছর অন্তর এগুলি চেক করে বদলে ফেলা দরকার।
৯। রানিং শু
লম্বা সময় ধরে একই জুতো পরে জগিং করেন বা দৌড়ন তাহলে জুতোর নরম ব্যাপারটাই নষ্ট হয়ে যায়, ফলস্বরুপ আপনি পায়ে ব্যথা অনুভব করবেন। তাই এক বছর পর রানিং শু পাল্টে ফেলাই ভালো।
১০। বালিশ
যতই পুরনো হোক না কেন লোকজন তার পছন্দের বালিশকে ছাড়তেই চায় না। একই বালিশ অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ঘাড়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। তাই ২-৩ বছরের মধ্যে বালিশ বদলানো উচিৎ।
Post a Comment