লাদাখে শহিদ বীরভূমের বীর সেনা রাজেশ, ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিয়ে, কিন্তু আর ঘরেই ফেরা হল না তাঁর!



Odd বাংলা ডেস্ক: মঙ্গলবার লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় নিহত সেনাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলারও এক যুবক। বীরভূমের মোহাম্মদবাজারের ভুটুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেলগরিয়া গ্রামের উপজাতি প্রান্তিক কৃষক সুভাষ ওরাঙ্গের ছেলে রাজেশ ওরাঙ্গ শহিদ হয়েছেন লাদাখে। ২৫ বছর বয়সী রাজেশ তাঁর একমাত্র ছেলে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের অন্তর্ভূক্ত। 

মোহাম্মদবাজারের একটি দোকানে কর্মরত রাজেশের খুড়তুতো ভাই অভিজিৎ ওরাঙ্গ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর কাকা সুভাষ ওরাঙ্গ তাঁর ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তবে তাঁরা এখনও জানেন না কবে বা কখন এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই খবর পাওয়ার পর পুত্রশোকে পাথর হয়েছেন সুভাষ বাবু। কীভাবে তার ছেলের এমন পরিণতি হল সেটুকুও সেনা অফিসারকে জিজ্ঞাসা করার মতো অবস্থায় তিনি ছিলেন না। 

গলায় একরাশ হতাশা নিয়ে সুভাষবাবু বলেন, তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে রাজেশই সবার বড় এবং ওরাঙ্গ পরিবারের প্রথম ছেলে ছিল, যে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। পরিবার সূত্রে খবর, দিন পনেরো  আগে রাজেশ বাড়িতে ফোন করেছিলেন। ফোন এসেছিল তাঁর মায়ের ফোনে, তাঁর মা ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন বলে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। রাজেশের ছোট বোন ফোন ধরেছিল। রাজেশ তাকে বলেছিল যে, সে পাহাড়ের দিকে যাচ্ছে এবং সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কিছু দিনের জন্য যোগাযোগ করতে পারবে না। রাজেশ আরও জানিয়েছিলেন যে তিনি লাদাখের তার ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান পেয়েছেন। 
অভিজিৎ জানান, রাজেশ ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ছয় মাস আগে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়, সেই উপলক্ষ্যে বাড়িতেও এসেছিলেন তিনি। তারিখ নির্ধারিত না হলেও তাঁর বিয়ে চূড়ান্ত করা হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ জানিয়েছেন, মৃত্যুর বিষয়ে তাঁরা এখনও কোনও সরকারি খবর পাননি। তবে জেলার এক প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.