রাশিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা, তাঁর নামে রয়েছে কমিক বুকও, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে কিছু না-জানা তথ্য


Odd বাংলা ডেস্ক: জোড়াবাগানের গৌরাঙ্গ থেকে বড় পর্দার মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে ওঠার যাত্রাপথ কিন্তু খুব সহজ ছিল না। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল, যা আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বাংলার মহাগুরু সম্পর্কে কিছু না-জানা তথ্য।

১) বলিউডে বহুল প্রচলিত সিক্স প্যাক অ্যাবস-এর কনসেপ্ট-এর প্রথম প্রবর্তক বলতে অনেকেই সলমন খান বা সঞ্জয় দত্তকেই মনে করেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন সিক্স প্যাকের কনসেপ্ট প্রথম নিয়ে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। 

২) ১৯৮৫ সালে সকলের আড়ালে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য জীবন মাত্র ৩ বছরের স্তব্ধ হয়ে যায়। আলাদা হয়ে যান দুজনে। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বিনোদন জহতে কম চর্চা হয়নি। 

৩) জানেন কি মিঠুন চক্রবর্তীর ওপর আধারিত একটা কমিক বই আছে? কমিক বইটির নাম 'জিমি জিনচ্যাক, এজেন্ট অব ডিস্কো'। কমিক বইটি প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। মিঠুন অভিনীত সুপার হিট ছবি ডিস্কো ডান্সার-এ তিনি যে জিমি-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তার ওপরেই আধারিত এই বইটি। 

৪) বড় পর্দায় তিনি পা রাখেন মৃণাল সেন পরিচালিত ছবি মৃগয়ার হাত ধরে, ১৯৭৬ সালে। আর সেই ছবি করেই সেরা নবাগত অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি।

৫) অনেকেই জানেন না, রাশিয়ায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরাট পরিচিতি। সেখানকার মানুষ তাঁর ডিস্কো ডান্সার ছবি 'জিমি জিমি আজা আজা' গানটি সকলেরই ঠোঁটস্থ। রাশিয়ার মানুষের কাছে বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতার নাম জানতে চাওয়া হলে উত্তর আসবে মিঠুন চক্রবর্তী। 

৬)  ১৯৮৯ সালে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ১৯টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল, যা এখনও পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড। এক বছরে কোনও তারকার হিরো হিসাবে এতগুলি ছবি মুক্তি পায়নি।

৭) অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যবসাও রয়েছে। পাপারাৎজি প্রোডাকশন নামে একটি প্রোডাকশন হাউসের মালিক মিঠুন। পাশাপাশি মিঠুন গ্রুপ অব হোটেল এবং মোনার্ক গ্রুপেরও মালিক তিনি। 

৮) বলিউডে পা রাখার আগে তিনি বিখ্যাত বলিউড ডান্সার হেলেন-এর সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। 

৯) কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে ডিগ্রি লাভ করেন মিঠুন। কিন্তু বলিউডে পা রাখার আগে তিনি ছিলেন একজন নকশাল কর্মী। সেইসময়কার নকশাল নেতা রবি রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট মেলামেশা ছিল। 

১০) ২০১৪ সালে মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন, কিন্তু তাঁর সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.