লকডাউনে তিন মাস আটকে বাংলাদেশে, দেশে ফিরতে দিদির সাহায্য চান পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক



Odd বাংলা ডেস্ক: এক আত্মীয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন কলকাতার বাসিন্দা শিক্ষক অচিন্ত্য সাহা। তবে বিয়ে খেতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। করোনা লকডাউনের ফাঁদে গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আটকে আছেন তিনি। এদিকে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে দু'সপ্তাহ আগে। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এই অবস্থায় দেশে ফিরতে চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যাদের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগণার চাঁদপাড়ার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অচিন্ত্য সাহা জানান, গত মার্চ মাসের শুরুতে বাংলাদেশে গিয়েছেন তিনি। এক মাস থাকার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আচমকা লকডাউনের জেরে দেশে ফেরা আটকে যায়। পরে ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করে বিশেষ বিমানে ফেরার ব্যবস্থা হলেও ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে পারেননি। ফলে দেশে ফেরা হয়নি। 

তারপর থেকে বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন। জানা গেছে, বর্তমানে ফরিদপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন পশ্চিমবঙ্গের ওই শিক্ষক। সেখান থেকে ঢাকা ছয় ঘন্টার পথ। কিন্তু বাংলাদেশে লকডাউন চলায় ঢাকায় যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ফরিদপুরে তার আত্মীয় বাড়ি থেকে ভারতের বনগাঁ সীমান্ত মাত্র দুই ঘন্টার রাস্তা। রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে বনগাঁ সীমান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেবেন তিনি। এ দিকে তার অসুস্থ বিধবা মা বাড়িতে একা রয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করার পাশাপাশি ডাক মারফৎ চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ দিকে বাড়িতে বিপাকে পড়েছেন অচিন্ত্যর বৃদ্ধা মা। নিত্য প্রয়জনীয় সামগ্রী, খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তার পড়শিরা জানাচ্ছেন, বৃদ্ধার কয়েক জন আত্মীয় আপাতত আশ্রয়, খাবার দিয়েছেন তাকে। 

কিন্তু বাড়িতে ছেলে কবে ফিরবে সে দিকে চেয়ে বসে আছেন বৃদ্ধা। অন্যদের মোবাইল চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে কথা বলছেন ছেলের সঙ্গে। জানতে চাইছেন, কবে ফিরতে পারবে সে। অচিন্ত্য জানিয়েছে, মাত্র হাজার দশেক টাকা নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান বাড়িতে তার বেশিরভাগটাই খরচ হয়ে গেছে। যা আছে সেই টাকায় কোনোভাবেই ফেরা সম্ভব না। তবে মুখমন্ত্রী নিশ্চয় তাদের আবেদনে সাড়া দেবেন বলে বিশ্বাস মা-ছেলের।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.