অমিতাভ নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শেষ করে দিয়েছিলেন রাজেশ খান্নাকে



Odd বাংলা ডেস্ক: নিজের এক ইন্টারভউ-এ কাদের খান বলেছিলেন যে একবার অমিতাভ বচ্চন তাঁকে বলেছিলেন "আমাকে অমিত বলে ডাকবেন না, বলবেন অমিতজী"। আজ সেই কাদের খান পৃথিবীতে নেই। কিন্তু সেই অমিতের বিরুদ্ধে জীবনের নানা পর্যায়ে এসেছে নানা অভিযোগ। একথাও ঠিক যে স্টারসদের বিরুদ্ধে এমন অনেক গুজব থাকে কিন্তু এই ঘটনাটি একেবারে সত্যি। 

সালটা ১৯৮৪। রাজেশ খান্না একটি সিনেমার সুটিং করছেন। কিন্তু তখন রাজেশ প্রায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। আর তার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিয়েছিলেন অমিতাভ নিজের হাতে। আসলে সেই বছর ডিরেক্টর নারায়না রাওয়ের একটি সিনেমায় অভিনয় করছিলেন রাজেশ খান্না। যার নাম ছিল " আজ কা এম এল এ"। অন্যদিকে সেই একই রকম গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি করছিলেন দক্ষিণের ডিরেক্টর তাত্তিনেনি। এই সিনেমার নাম ছিল ইনকিলাব। এই খবর ফাঁস হয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রিতে। এদিকে রাজেশ খান্না কথাটা জানতে পেরে তার সিনেমা যাতে আগে রিলিজ করে তাই দিন-রাত এক করে সুটিং করতে থাকেন। এমন কি একটা সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। 

এদিকে অমিতাভের সিনেমার তখন সুটিং শেষ হয়নি। রাজেশ খান্নার সিনেমা শেষ হয়ে সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেটের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খবরটা জানতে পারেন অমিতাভ। তারপরেই তিনি নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ওই সিনেমাটিকে সেন্সর বোর্ডেই আটকে দেন। সেন্সর বোর্ড সিনেমাটিকে প্রায় ৩ মাস ঝুলিয়ে রাখে। পিছিয়ে যায় তার রিলিজ ডেট। 

অন্যদিকে অমিতাভ নিজের সিনেমার সুটিং শেষ করেই সেন্সর বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু অমিতাভের সিনেমাতে প্রচন্ড ভায়োলেন্স দেখানো হয়েছিল। সেন্সর বোর্ড বলে আরও কিছু সিন বাদ দিয়ে আবার তাদেরকে সিনেমার প্রিন্ট পাঠাতে।  কিন্তু তাতে আরও কিছুদিন সময় লাগতো। তাই অমিতাভ রাতারাতি ফ্লাইটে করে দিল্লি চলে যান। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তার বিশেষ ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি সোজা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাকে বিষয়টা জানান। প্রধানমন্ত্রী নিজে সেন্সর বোর্ডকে বলেন সিনেমায় ছাড় দিতে। সেন্সর বোর্ড সেটাই করে। 

রাজেশ খান্নার সিনেমা ঝুলেই থাকে সেন্সরে। এদিকে অমিতাভের সিনেমা রিলিজ করে। কিন্তু ওই যে পাপ না ছাড়ে বাপকে। অমিতাভের সিনেমা সুপার ফ্লপ করে বক্স অফিসে। কিন্তু এর ফলে কেরিয়ার প্রায় শেষ হয়ে যায় রাজেশ খান্নার। তাঁকে আর কোনও প্রোডিউসর সিনেমাতে নিতে চায়নি।   অন্যদিকে অমিতাভ তখনও স্টার। তারকার এক দুটো সিনেমা ফ্লপ করতেই পারে। কিন্তু রাজেশের সিনেমা জীবন সেখানেই হয়েছিল ইতি। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.