চুমুবাবার করোনায় মৃত্যু, মহাসঙ্কটে তান্ত্রিককে চুমু খাওয়া ভক্তরা



Odd বাংলা ডেস্ক: কিসিং বাবা। নাম শুনলেই বোঝা যায়, বাবা ঠিক কীভাবে সমস্যার সমাধান করে দিতেন। হ্যাঁ, আপনাদের আন্দাজ একেবারেই ঠিক। মধ্যপ্রদেশের এক তান্ত্রিক। ঝাড়ফুঁক করে কোভিড-১৯ সারিয়ে দেওয়ার দাবি করতেন তিনি। তাঁর রোগ সারানোর উপায় ছিল লোকের হাতে চুম্বন করা। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সেই তান্ত্রিকের। তার পরই তাঁর সংম্পর্শে আসা লোকজনের খোঁজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। দেখা যায়, সেই ব্যক্তিদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। ওই তান্ত্রিক থাকতেন মধ্যপ্রদেশের রতলামে। ঝাড়ফুঁক করাই ছিল তাঁর পেশা। নিজের ভক্ত ও তাঁর কাছে আসা ব্যক্তিদের হাতে চুম্বন করতেন তিনি। সেই চুম্বনই নাকি যাবতীয় রোগ দূরে রাখবে। এই চুম্বন নাকি কোভিড-১৯ থেকেও বাঁচতে সাহায্য করবে, এমনই দাবি ছিল তাঁর।

বাবা বলেছিলেন, তিনি যাঁকে চুমু খাবেন তাঁর থেকে করোনা একশো হাত দূরে থাকবে। আর তাই গত কয়েকদিনে ভক্তদের দেদার চুমু খেয়েছেন তিনি। বাবার চুমু খাওয়ার ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু বাবারই শেষ রক্ষা হল না। কিসিং বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর ভক্তদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এতদিনে ভক্তরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁর বুজরুকির শিকার হয়েছেন। কিসিং বাবা কয়েকশো ভক্তের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে গেলেন। রতলামের নোডাল অফিসার চিকিৎসক প্রমোদ প্রজাপতি জানিয়েছেন, ৪ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছিল। এর পরই তাঁর সংস্পর্শে আসা অনেকের করোনা টেস্ট হয়। ২০ জনের শরীরে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি রয়েছে।

সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৩ জুন তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পরের দিন মারা যান তিনি। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ শুরু হয়। এ রকম প্রায় ৪০ জনের খোঁজ করে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের মধ্যে ২০ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গিয়েছে। ২০ জনের মধ্যে সাত জন ওই তান্ত্রিকের পরিবারের লোক। তাঁর সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও কোয়রান্টিনে রেখেছে সেখানকার প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে সেখানকার কালেক্টর রুচিকা চৌহ্বাণ জানিয়েছেন, তাঁরা মানুষের কাছে আবেদন করেছেন, কেউ এ রকম দাবি করলে তাঁর শরণাপন্ন না হতে। পাশাপাশি ওই এলাকায় এ রকম কাজকর্ম আরও কেউ করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.