লকডাউনে ভালো নেই কলকাতার জিগোলোরা, করোনার ভয়ে হাই প্রোফাইল মহিলারা আর ডাকছে না ওদের

Odd বাংলা ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া অথবা গুগলে ক্লিক করে ফোন নম্বরে যোগাযোগ। চটজলদি বাড়িতে হাজির কিউট, হাঙ্ক অথবা হট ছেলেরা। বয়স ১৮ থেকে ৩৬ এর মধ্যে। কলকাতায় বেশ জমে উঠেছিল জিগোলোদের মার্কেট। কিন্তু আজ সে সবই অতীত। জন (নাম পরিবর্তিত) ফোনে আমাদের জানাল লকডাউনে আর তেমন ডাক পড়ছে না তার। ফ্ল্যাটের রেন্ট একমাসের বাকি। সে বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে জুনিয়র আর্টিস্টের কাজও করত। সেটাও এখন বন্ধ। পুরানো ক্লায়েন্টের কাছে কয়েক হাজার টাকা ধার নিয়েছে। সেই মহিলার অনেকে তাকে সাহায্য করেছে। টাকার প্রয়োজনে কয়েকবার সমকামি ক্লায়েন্টের কাছেও গিয়েছে জন। যদিও সে নিজে বিপরীতকামি। 

জনের কথায় কলকাতার ক্লায়েন্টরা এখন তাদের দুটো কারণে ডাকছে না। এক লকডাউনের কারণে তাদের নিজেদের আয়ও অনেকটা কমে গিয়েছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের ভয় তো আছেই। জন বলে এই বাজারে আমরা তো তবু পুরুষ। গায়ে গতরে খাটার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু নিষিদ্ধপল্লীর অবস্থাটা একবার ভাবুন তো? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জিগোলোর চাহিদা শেষ দুবছরে কলকাতায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। জনের কথায় মূলত ওল্ড সিঙ্গেল মহিলারা আমাদের বেশি ডাকেন। কিন্তু এখন তাদের ইচ্ছে থাকলেও কোনও উপায় নেই। কারণ তারা সবাই হাই রাইস বিল্ডিং-এ থাকেন। সেখানকার অন্য বাসিন্দারা বাইরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। অতএন আমাদেরও ঢুকতে দেবে না।