মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে কি সত্যিই ফিরে আসে মৃত যোদ্ধাদের আত্মা?



Odd বাংলা ডেস্ক: এমনিতেই মধ্যপ্রদেশের যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে ট্যুরিজমের বিষয়ে। তার উপরে যদি সন্ধান পাওয়া যায় এক রহস্যময় মন্দিরের, তাহলে খেলা পুরোপুরি জমে যায়। মধ্যপ্রদেশের মাইহার শহরের সারদা দেবী মন্দিরটি সম্পর্কে পল্লবিত রয়েছে এমন কিছু কিংবদন্তি, যা সত্যিই আশ্চর্য করে দেয়। ১০৬৩টি সিঁড়ি পেরিয়ে পৌঁছতে হয় এই মন্দিরে। তবে উপরে ওঠার জন্য রোপওয়েও রয়েছে। সারা বছরই ভিড় থাকে পুণ্যার্থীদের। নবরাত্রীর সময়ে ভিড় আরও বাড়ে। মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবী সারদার মূর্তি। মনে করা হয় ষোড়শ শতকে এই মূর্তি নির্মিত হয়েছিল। এমন মন্দির ভারতে আরও রয়েছে, তা হলে এর বিশেষত্ব কোথায়? বিশেষত্ব এখানেই যে, স্থানীয় বিশ্বাস অনুসারে ৯০০ বছরের পুরনো এক আত্মা নাকি আজও প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে পুজো দিয়ে যান।

কী রয়েছে এই কিংবন্তির মূলে, জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে ৯০০ বছর আগে পৃথ্বীরাজ চৌহানের আমলে। পৃথ্বীরাজ এই অঞ্চল আক্রমণ করলে আলহা এবং উদাল নামের দুই যোদ্ধা তাঁকে প্রতিরোধ করেন। আলহা ছিলেন সারদা দেবীর পরম ভক্ত। এই বীরত্বের জন্য আরাধ্যা দেবী আলহাকে অমরত্ব দান করেন। ‘অমর’ আলহা নাকি আজও প্রত্যূষে মন্দিরে আসেন এবং দেবীর পূজা করেন। মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকলেও আলহার আগমনে কোনও বাধা সৃষ্টি হয় না। প্রতিদিন দরজা খোলার পরেই চোখে পড়ে দেবীর পায়ের কাছে পড়ে রয়েছে টাটকা ফুল-মালা। গণবিশ্বাস এই— আলহার অমর আত্মাই এই কাজটি যুগ যুগ ধরে করে আসছে। তাকে দেখা যায় না। কিন্তু তার পূজার ফুলকে সবাই দেখতে পান। আলহার কাহিনি সত্য কি সত্য নয়, সেটা বড় কথা দাঁড়ায় না, যখন জানা যায় এই মন্দির আসলে ৫১ সতীপীঠের একটি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.