অত‍্যাধিক নেশার ঘোরে নিজের পায়ুপথে ঢুকিয়ে ফেললেন মদের বোতল, যা হল তারপর...



Odd বাংলা ডেস্ক: অপারেশন চালিয়ে যাওয়া নাগপট্টিনমের হাসপাতালের জেনারেল সার্জন ডাঃ এস পান্ডিয়ারাজ বলেছেন, “আমার পুরো ক্যারিয়ারে আমি এর আগে কখনও এমন কিছু দেখিনি।” ২৯ বছর বয়সী রোগীর এক্স-রে পাওয়ার কয়েক মুহুর্ত পরে ২৭শে মে নাগাপট্টিনম সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকরা শোকের কবলে পড়েছিলেন। নাগোরের বাসিন্দা তাঁর ম’লদ্বার ব্যথার এবং অস্বস্তির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। তার অস্বস্তির উত্স খুব শীঘ্রই স্পষ্ট হয়ে উঠল – সিগময়েড কোলনে রোগীর সিগময়েড কোলে একটি ২৫০ মিলিলিটার কাচের বোতল রয়েছে। অনেকদিন ধরেই ছিল পেটে ব্যথা। নিম্নাঙ্গে উঠতে বসতে ছিল অস্বস্তিও। সেরকম ভাবে পাত্তা দেননি। কিন্তু ব্যথা বাড়ায় হাসপাতালে পৌঁছতেই জানা গেল আসল কারণ। যুবকের ইউএসজি রিপোর্ট দেখে চমকে ওঠেন চিকিৎসকও। ২৯ বছরের যুবকের পেটে রয়েছে আস্ত এক ম’দের বোত। কিভাবে ওই ম’দের বোতল ওখানে পৌঁছল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ওই যুবক যা জানায় তাতে শিউরে উঠবেন।

যুবকের দাবি, সম্প্রতি ম’দের নে’শায় চুর হয়ে তিনিই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। ম’দের অতিরিক্ত নে’শায় তিনিই ম’দের বোতলটি পা’য়ুদ্বা’র দিয়ে ঢুকিয়ে দেন। পরদিন নে’শা কাটলেও ঘটনাটির কথা সম্পূর্ণ ভুলে যান ওই যুবক। চিকিৎসক বলেছেন যে রোগী তার নাম প্রকাশে বারণ করেছেন এবং তার পরিবারের কাছে বিষয়টি প্রকাশ করেননি আর হাসপাতালে যাওয়ার আগে অবধি দু’দিন ব্যথায় ছিলেন। পা’য়ুপথে কিছু একটা আটকে আছে বুঝতে পেরে সেটা বার করতে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করায় বোতলটি আরো ভিতরে ঢুকে যায়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন শরীরের ভেতর থাকায় বোতলটি চাপ লেগে যুবকের পাকস্থলীতে পৌঁছে গিয়েছে। যেহেতু এটি একটি কাচের বোতল ছিল এবং এটি যদি ভেঙে যায় তবে এটি মারাত্মক অভ্যন্তরীণ ক্ষতি করতে পারত,” সার্জন বলেছেন।”

তাই আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম এবং সাথে সাথেই অস্ত্রোপচার করলাম। আমরা রোগীকে অজ্ঞান করার জন্য মেরুদণ্ডে অ্যানাস্থেশিয়া দিয়েছিলাম এবং দু’ঘন্টার শল্য চিকিৎসায় বোতলটি অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি।চিকিৎসকরা আরো বলেন আমরা রোগীকে দুদিন হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছি এবং তার সাথেই আমরা পর্যবেক্ষন করেছি বোতল অপসারনের পর‍েও রোগী একটু অসস্তি বোধ করছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.