ট্রেনের টিকিট নেই, তাই গাড়ি কিনে বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিক



Odd বাংলা ডেস্ক: ঘটনা দিন কয়েক আগের। তখনও ঘোষণা হয়নি যে ১ জুন থেকে লকডাউন উঠছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হলেও এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার শেষ নেই। টিকিটের জন্য আকাল বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ যাত্রী সংখ্যার তুলনায় চলছে না পর্যাপ্ত ট্রেন। তারপর বাসে ফেরার কথা ভেবেছিল বলে জানা যায়। পরে ভিড়ে ঠাসা স্টেশনে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা ও মানুষের ভারে উপচে পড়া বাসের অবস্থা দেখে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেক করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয় পায় লাল্লন। পরিবার সমেত তিন দিন স্টেশনেই রাত কাটিয়েছিলেন তিনি। তাই প্রায় তিন দিন ঠায় স্টেশনে দাঁড়িয়ে শেষে বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্কে জমানো লক্ষাধিক টাকা খরচ করে একটি গাড়ি কিনে বাড়ি ফিরলেন লাল্লান। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের কাইথোলিয়া গ্রাম থেকে দিল্লির গাজিয়াবাদে এনসিআর কলোনিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি।

লাল্লন স্থানীয় সংবাদ মাধ‍্যমকে জানায়, প্রথমে ‌ভেবেছিলাম, লকডাউনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু লকডাউন তো বেড়েই চলেছে। পরে ভাবলাম, গ্রামে ফিরে যাওয়াই ভাল। ওখানেই সুস্থ থাকবে পরিবার। অনেক চেষ্টা করেও বাস–ট্রেনের টিকিট জোগাড় করতে পারলাম না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই গাড়ি কিনে ফেলি। বর্তমানে গোরক্ষপুরেই হোম কোয়ারিন্টাইনে রয়েছে লাল্লন ও তার পরিবার। অন্তত আমরা পরিবার তো সুস্থ আছে। এটাই যথেষ্ট। গ্রামেই যদি কাজ পাই, আর কখনই গাজিয়াবাদ ফিরে যাব না। বাড়ি বাড়ি রং করার কাজ করতেন সেখানে। লকডাউন রাতারাতি কাজ হারান তিনি। অবশেষে টিকিট না মেলায় সোজা চলে যান ব্যাঙ্কে। এত বছর ধরে একটু একটু করে ব্যাঙ্কে জমানো প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকাই তুলে ফেলেন। এবং তা দিয়ে একটা পুরোনো চার চাকা গাড়ি কিনে ফেলেন পেশায় রঙ মিস্ত্রী লাল্লন। এরপর তাতে চড়েই পরিবার নিয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.