চিননির্ভরতা কমাতে আমদানি পণ্যের তালিকা চেয়েছে মোদী সরকার



Odd বাংলা ডেস্ক: সারা ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তা কতখানি সম্ভব, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ কারণ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই চিন থেকে আমদানি করতে হয়৷ এ পরিস্থিতিতে চিননির্ভরতা কমাতে তৎপর হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। চিন থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করা হয়, সেসবের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এমনকি সেসব ভারতে উৎপাদিত হলে দাম কত পড়বে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে করসংক্রান্ত কী কী অসুবিধা রয়েছে, সেসবও শিল্পমহলের কাছে জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ভারত সরকার মনে করছে, এসবের ফলে চিন থেকে নিম্নমানের বহু পণ্যের আমদানি যেমন কমানো যাবে, দেশে উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণও বাড়বে। ফরে দেশের অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে৷ সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তরে হওয়া আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প নিয়ে একটি বৈঠকে চিনের ওপরে নির্ভরতা কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়৷ লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাত বৃদ্ধির পরেই ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠেছে৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতেই চিননির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ জানা গেছে, ভারতের মোট আমদানির প্রায় ১৪ শতাংশ চিন থেকে আসে। মোবাইল, প্লাস্টিকের খেলনা এবং ওষুধের কাঁচামালের জন্যই চিনের ওপর বেশি নির্ভরশীল ভারত৷ চিন থেকে যে পণ্য এবং কাঁচামাল বা সরঞ্জাম আমদানি করতে হয়, সেগুলো নিয়ে শিল্পমালিকদের মতামত এবং পরামর্শ চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেই তালিকায় রয়েছে হাতঘড়ি, দেয়ালঘড়ি, ইনজেকশনের অ্যাম্পুল, কাচের রড ও টিউব, হেয়ার ক্রিম, শ্যাম্পু, ফেস পাউডার, চোখ এবং ঠোঁটের মেক আপের জিনিস, প্রিন্টিং কালি, রং, তামাকজাত পণ্যের মতো জিনিসের তালিকা রয়েছে৷ শিল্পমালিকদের এক সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা এসব তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে এবং খুব শিগগিরই তা কেন্দ্রীয় শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ এরই মধ্যে টায়ার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত রয়েছে, এমন দেশগুলো থেকে ভারতীয় সংস্থাগুলোর অধিগ্রহণের চেষ্টা হলে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ যার ফলে চিনা সংস্থাগুলোর পক্ষে আর্থিক মন্দার সুযোগ নিয়ে ভারতীয় সংস্থাগুলোর দখল নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷
Blogger দ্বারা পরিচালিত.