মহানদীর গর্ভ থেকে বেরিয়ে এল শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের চূড়া, নয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন


Odd বাংসা ডেস্ক: ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক)-এর একটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে দল ওড়িশা কটক থেকে মহানদির জলে নিমজ্জিত একটি সুপ্রাচীন মন্দির উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।

ইনট্যাকের প্রকল্প সহকারী দীপক কুমার নায়কের প্রচেষ্টায় একাধিকবার মন্দিরটির অনুসন্ধান চালানোর পর মন্দিরটি সফলভাবে উদ্ধার করা গিয়েছে। জলের মধ্যে নিমজ্জিত মন্দিরের চূড়াটি কটকের কাছে অবস্থিত পদ্মাবতী অঞ্চলের বৈদেশ্বরের নিকটে নদীর মধ্যবর্তী অংশে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৬০ ফুট উচ্চ মন্দিরটি নিমজ্জিত মন্দিরটি মাস্তাক-এর নির্মাণ শৈলী অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও মনে করা হচ্ছে যে, মন্দিরটি ১৫ শতকের শেষে কিংবা ১৬ শতকের শুরুর দিকে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

ইনট্যাকের প্রকল্প সহকারী দীপক কুমার নায়ক স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র রানার সহযোগীতায় এই মন্দিরটি উদ্ধার করেন। গ্রীষ্মের দিনে নদীর জল কমে গেলে মন্দিরের চূড়াটি দেখা যেত। এই মন্দিরটি গোপীনাথ দেবকে উৎসর্গ করা হয়েছে। আগেকার দিনে ওই অঞ্চলটি 'সাতপাতানা' হিসাবে বিবেচিত হত। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় তথা বন্যার কারণে নদীর গতিপথের পরিবর্তন করে। এরপর এক সময়ে গোটা গ্রাম ওই নদীর জলে প্লাবিত হয়ে নদীগর্ভে চলে গিয়েছিল। 

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মন্দিরটি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মন্দিরের দেবতাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যা বর্তমানে পদ্মাবতী গ্রামে গোপীনাথ দেব মন্দির নামে পরিচিত। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.