সোমবার খুলছে অফিস, কিন্তু লোকাল ট্রেন নেই, ঝামেলার ভয়ে নিরাপত্তা চাইছে শিয়ালদহ


Odd বাংলা ডেস্ক:  ৮ জুন থেকে পশ্চিমবঙ্গে খুলে যাচ্ছে সরকারি – বেসরকারি সব অফিস। মানে অফিস খুলছে সোমবার। দীর্ঘ সময়ের পর অনেক সরকারি, বেসরকারি অফিস কাল থেকে খুলে যাবে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার পর থেকে একরকম ভাবে কাজে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল রাজ্যবাসীর। কাল থেকে আবার একটু একটু করে পুরনো অভ্যাসে ফিরে যাওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু সেই শুরুর দিনটি নিয়েই চিন্তায় রয়েছে রেল। আর সেই কারণেই রেলের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। সোমবার, মানে ৮ জুন বিভিন্ন স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চাইল রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন। কেন?‌ কারণ হঠাৎ অফিস খোলায় গণ্ডগোলের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাঁরা মনে করছেন, সোমবার অনেক সরকারি অফিস খুলবে। রেল নিজেদের কিছু কর্মীকে আনার জন্য কয়েকটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই ট্রেনগুলি যে রুটে আসবে, সেখানে হয়ত অনেক সাধারণ মানুষ থাকবেন। রেলের সেই স্পেশাল স্টাফ ট্রেনে সাধারণ মানুষও ওঠার চেষ্টা করতে পারেন। আর তাতেই আইন শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। আর সেই নিয়েই রাজ্যকে একটি চিঠি দিয়েছে রেল। কবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু কর্মক্ষেত্র চালু হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ভাবছেন, কী করে পৌঁছবেন অফিসে। রেল পরিষেবা চালু না হওয়ায় একটা বড় সংকটের মধ্যে তাঁরা রয়েছে। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, সোমবার অফিস খোলার পরেও অনেকে যদি পৌঁছতে না পারেন বা পৌঁছানোর সময়ে সমস্যার মধ্যে পড়েন, তাহলে রেল পরিষেবা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হতে পারে। তাতে আইন শৃঙ্খলা সমস্যা বাড়তে পারে। আর সেই কারণেই পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার দাবি করা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, আমরা জানি কলকাতা শহরের বিভিন্ন অফিসে যারা কাজ করেন তাদের একটা বড় সংখ্যক মানুষ শহরতলী থেকে আসেন। তাদের পক্ষে বাসে করে যাতায়াত করাটা অসম্ভব। হুগলীর শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মৌবনি ভট্টাচার্য্য সল্টলেকের একটি আইটি ফার্মে চাকরি করেন। তাঁর মতে হাওড়া ও হুগলীর বিস্তির্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন লোকাল ট্রেনে। এই দুরত্ব থেকে বাসে করে যাওয়া অসম্ভব। তাহলে আমাদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ৮ই জুন থেকে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস চলবে। অথচ লকডাউন শুরু হওয়ার আগে উত্তরবঙ্গের বহু চাকুরিজীবী মানুষ নিজের জেলাতে গিয়ে আটকে আছেন। এদিকে রেলমন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী পদাতিক এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোনও ট্রেন এখনও উত্তরবঙ্গ থেকে আসার জন্য দেওয়া হয়নি। তাহলে তাঁরা ফিরবেন কী করে। কোচবিহারের বাসিন্দা অজিত বর্মন একটি বেসরকারি অফিসে কেরানির চাকরি করেন। কোনও ক্রমে কলকাতা থেকে টাকা পাঠালে তার সংসার চলে। কিন্তু এই অবস্থাতে কীভাবে ফিরবেন তিনি জানেন না। এদিকে অফিস বলছেন জয়েন করতেই হবে। তিনি বলছেন সবার তো আর গাড়ি ভাড়া করে ১০,০০০ টাকা দিয়ে ফেরা সম্ভব নয়। অফিস খোলার আগে আমাদের এই বিষয়গুলি লক্ষ রাখা উচিত।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.