আজ শনিবার, শনিদেব জীবনে কী প্রভাব ফেলতে চলেছেন তা বোঝার উপায়



Odd বাংলা ডেস্ক: শনিদেব আমাদের সবার জীবনে একটা ভয়ের ব্যাপার। শনিদেবের প্রভাব পড়লে জীবন তছনছ হয়ে যায়, নানারকম সমস্যা দেখা দেয়, আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়, মানসিক ভাবে ভেঙে পরে। শনিদেবের দৃষ্টি কোনো মানুষের উপরে পড়লে তার ক্ষতি অনিবার্জ। শনি হল হিন্দুদের দেবতা, তিনি সূর্য দেব ও ছায়া দেবীর পুত্র। এজন্য তাকে ছায়াপুত্র বলা হয়। মধ্যযুগীয় গ্রন্থে শনিদেবকে অশুভ দেবতা হিসাবে বিবেচিত করা হয়। পুরানে কথিত আছে শনিদেবের প্রভাব এতটাই তীব্র যে কোনো মানুষ শনিদেবকে নাম ধরে বলতে সাহস করেন না। মর্তলোকে মানুষকুলে, আবালবৃদ্ধবনিতার চোখে তিনি বিনা দোষে দোষী ও ভীতিপ্রদ দেবতা। সবাই তাকে বড়বাবা বা বড়ঠাকুর বলেন। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা পরিচালিত নবগ্রহ। মানুষ জন্মজন্মান্তরের ফল ভোগ করেন আর বিষ্ণু নবগ্রহ দ্বারা সেই ফল ভোগ করান। শ্রীকৃষ্ণের আজ্ঞাবহ হয়ে সবাইকে সেই ফল প্রদান করেন, শনিদেবও এর থেকে ব্যাতিক্রম নন।

তবে নারীপুরুষের জন্মকুন্ডলীতে প্রসন্ন হয়ে শনিদেব যেমন ধন সম্পদে ভরিয়ে দেন, তেমনই কারুর প্রতি ক্ষুন্ন হলে তাকে সারাজীবন অন্ধকারে ফেলে রাখেন। ভগবান সূর্যদেবের দুটি পুত্র ও একটি কন্যা। যমরাজ শনিদেব ও যমুনা। তারা তিন জনেই কৃষ্ণবর্ন। সূর্যদেবের উগ্রতেজের জন্য তারা কৃষ্ণবর্ণের হয়েছিল। সূর্যদেবের পত্নী সংজ্ঞাদেবী। সংজ্ঞার ছায়া থেকে সৃষ্টি হয়েছিলেন সংজ্ঞার প্রতিকৃতি, এই ছায়ার গর্ভজাত শনিদেব। ভগবান শনিদেবের কৃষ্ণবর্ন দেহে চারটি হাত শোভাবর্ধন করে। চারটি হাত শোভিত গদা, পাশ, ত্রিশূল ও বল্লমে।

শনিদেব রৌদ্ররুপ ধারন করে অস্ত্রগুলির সাহায্যে মানুষের সর্বধিক দুঃখ বিনাশ করেন। লোহার রথে চড়েন শনিদেব। সেই রথে থাকে জোড়া শকুন, যা তার প্রিয় বাহন গুলোর মধ্যে একটি। শনিদেব সরষের তেল, কালো তিল, গুঁড়, কালো কলাই ডাল, কালো পাহাড়, যেকোনো কালো দ্রব্য ভালোবাসেন। শনিদেবের রুচি অধ্যাত্মবাদে কানুন ও রাজনীতিতে। তার প্রিয় বন্ধু হল বুধ ও রাহু। তার প্রিয় রাশি হল মকর ও কুম্ভ। শনিদেবের ব্যবসায়িক উদ্যোগে আছে পেট্রোলিয়াম পদার্থ, লৌহ ইস্পাত, যানবাহন ও সবরকম পরিবহন। শনিদেব যখন হাতির পিঠে চড়ে আসেন তখন নারী পুরুষের অর্থপ্রাপ্তি হয়। জীবন মন ধন্য হয়ে ওঠে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.