পরিচারিকার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত ছেলে-বাবা-দাদু! জানাজানি হতেই কেলেঙ্কারি



Odd বাংলা ডেস্ক: টিনা রাসেলের ঘটনা আমেরিকা এখন জানে। ১৯৭৩ সালে একটি ট্রায়াল চলাকালীন আদালতে জি়জ্ঞাসাবাদের সময় প্রথম খবরটা প্রকাশ পায়। তার পরিবারের সমস্ত পুরুষ, তার পিতা, কাকু, জেঠু সবাই তার সঙ্গে সঙ্গম করত। পরে অবশ্য গোটা পরিবারকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

কিন্তু এবারের ঘটনা ইরান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশে প্রতিবছর কাজ করতে যায় প্রচুর পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি। সেরকমই একটি মেয়ে নুসরাত। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাড়ি তার। ইরানে মূলত চাকরি করতে গিয়েছিল। দালাল বলেছিল কোম্পানির চাকরি। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে দেখে এটা একটা এজেন্সি। যেখান থেকে পরিচারিকা সাপ্লাই দেওয়া হয়। ইরানের পুরুষ তান্ত্রিক পরিবারগুলিতে ভীনদেশি পরিচারিকার বিশেষ চাহিদা রয়েছে। কারণ সেখানে তাদের যৌনদাস বানিয়ে রাখা হয়। তাদের পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়। নুসরাত কোনও ক্রমে এক রাতে পালিয়ে স্থানিয় পাকিস্তান এম্ব্যাসিতে গিয়ে পৌঁছায়। আর সঙ্গে সঙ্গে ফাঁস হয়ে যায় ওই ইরানি পরিবারের নোংরা সত্য। 

স্থানিয় পুলিশকে নুসরাত জানায়। প্রত্যেক ধর্ষণ করা হত তাকে। পালা করে প্রথমে বাড়ির কর্তা তাকে ধর্ষণ করত। তারপর তার ছেলে। আর অবশেষে সেই বাড়ির বৃদ্ধ। ৬০ বছর বয়সি সেই বৃদ্ধের শিকারও হতে হত ,তাকে। দিনের পর দিন ধর্ষিতা হওয়ার পর নুসরাত অসুস্থ হয়ে যায়। পরিবারের পুরুষদের কাছে সেই মহিলারা শুধু কাঠের পুতুলের মতো। তারাও সব মুখ বুজে সহ্য করত। নুসরাতকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নারী স্বাধীনতার বিষয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে একটি হল ইরান। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই UNESCO বহুবার প্রশ্ন তুলেছে।  
Blogger দ্বারা পরিচালিত.