বাংলা সিনেমা জগতেও আছে নেপোটিজম, এই প্রথম কেউ মুখ খুললেন, মিডিয়া পেল ভয়




Odd বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার সকালে এই প্রতিবেদনটি লেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তার লাইভে শ্রীলেখা বাংলা সিনেমা জগত সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু কোনও মিডিয়া তেমন ভাবে তাদের হেডলাইনে সেই বড় তারকাদের নাম ব্যবহার করেনি যাদের কথা শ্রীলেখা নিজের লাইভে বলেছেন। হতে পারে তারা ভয় পেয়েছে যে সেই তারকারা তাদের আর ইন্টারভিউ দেবে না।


কিন্তু শ্রীলেখা যে কথাগুলি বলেছে তার প্রতিটা পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।   শ্রীলেখা বলছেন, “ডিপ্রেশন আছে থাকবে। এটাকে নিয়ে আমি বহু বছর ধরে ফাইট করছি। করব। আমি আত্মহত্যা প্রবণ নই। একটা সময় ছিলাম।”





কিন্তু এই লাইভে শ্রীলেখা মুখ খুলেছেন 'আমিই ইন্ডাস্ট্রি' বলা সেই প্রসেনজিৎ -কে নিয়ে। হ্যাঁ, বাংলা সিনেমার পাওয়ার গেমের কথা খোলাখুলি বলে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  শ্রীলেখা বলছেন “প্রথমদিকে আমি নায়িকার কোনও চরিত্র পাইনি। তখন ইন্ডাস্ট্রিতে এক নম্বরে ছিলেন বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তখন বোনের চরিত্র করেছি। সেকেন্ড লিড করেছি। যদিও আমি জানতাম আমি নায়িকা হওয়ার যোগ্য। কিন্তু সেই সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম।” আবার ভেঙ্কটেশের মনি-শ্রীকান্তের মনি নাকি বলেছেন "সুটিং করতে ওড়িশা যাচ্ছো, এবার তোমার সঙ্গে বুম্বাদার প্রেমটা হবে"। একটা প্রযোজক যদি এই কথা বলেন তাহলে একজন অভিনেত্রী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন?

শ্রীলেখা জানান, অশোক ধানুকার অন্নদাতা ছবির নায়িকার চরিত্রে তিনি সাইন করেন। খুব আনন্দ পেয়েছিলেন প্রথম বাংলা ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে। কিন্তু অশোক ধানুকা ফোন করে জানান, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে ছবি করতে চান না। কারণ তিনি মনে করেন শ্রীলেখা নায়িকা হলে কেউ টাকা দিয়ে সিনেমা হলে যাবেন না।



 শ্রীলেখা জানান এর পরে একদিন স্টুডিওতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বদলে ফিরদৌসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এবং তার কিছুদিন পরেই অশোক ধানুকা এবং খোদ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ফোন করে জানান, অন্নদাতা ছবিতে শ্রীলেখাই কাজ করছেন। শ্রীলেখা জানাচ্ছেন, অন্নদাতা ছবিটি হিট করেছিল। কিন্তু তারপরে আর কোন ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করা হয়নি। অন্নদাতা ছবিতে একটি গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স ছিল অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। তখন থেকে প্রেম শুরু হয় অর্পিতা ও বুম্বাদার। এরপরে অর্জুন চক্রবর্তীর পরিচালনায় টলিলাইটস ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রীর কথায়, “সেই সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অর্জুন চক্রবর্তীকে ফোন করে বলেছিলেন, শ্রীলেখা কে বাদ দাও। আমাকে দাও। আমি কম পারিশ্রমিক এ অভিনয় করব। শুনে খুব কষ্ট লেগেছিল। অর্জুনদা কে ধন্যবাদ যে তিনি আমাকে ছবিটা করতে দিয়েছিলেন। ঋতুকে পরে বলেছিলাম তোমার হা মুখটা ছোট করো। অন্যদেরও কাজ করতে দাও।”


শ্রীলেখার এই লাইভ, আসলে বাংলা সিনেমা জগতের অন্ধকার দিকটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। তাঁর প্রতিটা কথা প্রমাণ করে দিয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পাওয়ার গ্রুপ আছে। কোনও নায়ক বা নায়িকাকে টিকে থাকতে হলে সেই গ্রুপে তাকে মিশতে হবে। নইলে টিকে থাকা দায়। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.