রামবাগানের সুশীলা সুন্দরী, ইনিই ভারতীয় সার্কাসের জগতে প্রথম মহিলা রিং মাস্টার
শুভেন্দু পাঠক: ভারতীয় সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মানা হয় যাঁকে, তাঁর নাম বিষ্ণুপন্থ ছত্রে। ইনি প্রথম বম্বে প্রেসিডেন্সিতে সার্কাস কোম্পানি খোলেন। পরে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি এবং ত্রিবাংকুরেও সার্কাস শুরু হয়। ‘মালাবার সার্কাস কোম্পানি’ নামে কেরালায় একটি সার্কাস ট্রেনিং স্কুলও চালু হয়। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে ভারতের এই সার্কাসগুলো জাগলিং, ট্রাপিজের খেলা, জাদু, সাইক্লিং নানারকমের সার্কাস দেখাত। তবে এইসব সার্কাসের মূল আকর্ষণ ছিল মেয়েরা।
১৯০১ সালের ২১শে নভেম্বর ‘ইংলিশম্যান’ কাগজে ছবিসমেত ফলাও করে ছাপা হয়েছিল একটি রিপোর্ট। সুশীলাসুন্দরী, সেই সময়ের ডাকসাইটে মহিলা রিং-মাস্টারকে নিয়ে। একসঙ্গে দুটো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আর একটা সিংহকে নিয়ে খেলা দেখাতেন যিনি। শাড়ি আর টিপ পরা শান্ত হিন্দু নারীর প্রচলিত ভাবমূর্তিকে ভেঙেচুরে দিয়েছিলেন সুশীলা। জন্মেছিলেন কলকাতার নিষিদ্ধপল্লী রামবাগানে। প্রিয়নাথ বোস, কলকাতার প্রথম রিং মাস্টারের নিজের হাতে তৈরি সুশীলাকে নিয়ে সেসময় কানাঘুষো গড়িয়েছিল আরব সাগর পেরিয়ে খাস ইংল্যান্ডের দরবার পর্যন্ত। জাদুকর গণপতি-র সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায়। এই গণপতি খ্যাত ছিলেন ‘প্রাচ্যের হুডিনি’ নামে।
সুশীলা আর তাঁর সঙ্গে পারফর্ম করতে রাজি না হওয়ায় গণপতির পসার আর জনপ্রিয়তা অচিরেই কমে যায়। সুশীলার সহকর্মিনী, প্রিয়নাথ বোসের আর এক শিষ্যা মৃন্ময়ীর জীবন যদিও ছিল ট্র্যাজিক। পোস্টারে-প্রচারে তাঁর ইমেজ ছিল শক্তিশালী এক মাতৃমূর্তির। যদিও বাস্তব জীবন ছিল ঠিক উলটো। অশক্ত, অসহায় বিধবার জীবন। স্বামীর মৃত্যুর পর মৃন্ময়ীকে কঠোর বৈধব্যের আচার পালন করতে বাধ্য করা হয়। ভারতে সার্কাসের ইতিহাসে মেয়েদের মধ্যে রুকমাবাঈ এক আশ্চর্য নাম। তাঁর নিজের নামে গ্র্যান্ড সার্কাস ছিল। তিনি নিজে ছিলেন সেই সার্কাসের ম্যানেজার।
‘প্রফেসর’ খেতাব জুটেছিল রুকমার, যা এতদিন একচেটিয়া ছিল পুরুষের। স্বাভাবিক ভাবেই সেই তিরিশ দশকের পরাধীন, ঔপনিবেশিক, পুরুষশাসিত ভারতীয় সমাজ মেনে নিতে পারেনি রুকমার স্বাধীনতা, সাফল্য এবং ক্ষমতার দাপট। তাকে নিয়ে বিস্তর নিন্দা, সমালোচনা এবং মানহানিকর সংবাদ আর লেখালেখির ঝড় ওঠে দেশের কাগজগুলোয়। একমাত্র বাংলা ভাষার কিছু দৈনিকে রুকমার কাজের সুখ্যাতি হয়। “ঝাঁসির রানি” নামে প্রশংসাও মেলে। নিজে প্রচণ্ড শারীরিক বলশালিনী ছিলেন। দর্শককে হতবুদ্ধি করে রাখতে পারতেন।
সুশীলা আর তাঁর সঙ্গে পারফর্ম করতে রাজি না হওয়ায় গণপতির পসার আর জনপ্রিয়তা অচিরেই কমে যায়। সুশীলার সহকর্মিনী, প্রিয়নাথ বোসের আর এক শিষ্যা মৃন্ময়ীর জীবন যদিও ছিল ট্র্যাজিক। পোস্টারে-প্রচারে তাঁর ইমেজ ছিল শক্তিশালী এক মাতৃমূর্তির। যদিও বাস্তব জীবন ছিল ঠিক উলটো। অশক্ত, অসহায় বিধবার জীবন। স্বামীর মৃত্যুর পর মৃন্ময়ীকে কঠোর বৈধব্যের আচার পালন করতে বাধ্য করা হয়। ভারতে সার্কাসের ইতিহাসে মেয়েদের মধ্যে রুকমাবাঈ এক আশ্চর্য নাম। তাঁর নিজের নামে গ্র্যান্ড সার্কাস ছিল। তিনি নিজে ছিলেন সেই সার্কাসের ম্যানেজার।
‘প্রফেসর’ খেতাব জুটেছিল রুকমার, যা এতদিন একচেটিয়া ছিল পুরুষের। স্বাভাবিক ভাবেই সেই তিরিশ দশকের পরাধীন, ঔপনিবেশিক, পুরুষশাসিত ভারতীয় সমাজ মেনে নিতে পারেনি রুকমার স্বাধীনতা, সাফল্য এবং ক্ষমতার দাপট। তাকে নিয়ে বিস্তর নিন্দা, সমালোচনা এবং মানহানিকর সংবাদ আর লেখালেখির ঝড় ওঠে দেশের কাগজগুলোয়। একমাত্র বাংলা ভাষার কিছু দৈনিকে রুকমার কাজের সুখ্যাতি হয়। “ঝাঁসির রানি” নামে প্রশংসাও মেলে। নিজে প্রচণ্ড শারীরিক বলশালিনী ছিলেন। দর্শককে হতবুদ্ধি করে রাখতে পারতেন।
Post a Comment