বেহুলা লখিন্দরের বাসর ঘর আজও আছে, কোথায় জানেন?



Odd বাংলা ডেস্ক: কালকেউটের ফণায় নাচছে লখিন্দরের স্মৃতি, বেহুলা কখনো বিধবা হয় না এটা বাংলার রীতি। ভেসে যায় ভেলা, এবেলা ওবেলা একই শব দেহ নিয়ে আগেও মরেছি আবার মরবো প্রেমের দিব্যি দিয়ে। গায়ক কবীর সুমনের অত্যন্ত জনপ্রিয় 'জাতিস্বর' গানটি যারা শুনেছেন তাঁদের অনেকেই কাছেই উপরের কথাগুলো পরিচিত। তবে আমরা অনেকেই জানি না বেহুলা ও লক্ষিন্দরের বাসর ঘর আমাদের বগুড়া সদরের গোকুল গ্রামে অবস্থিত। বাংলাদেশের বগুড়া সদরের উত্তরে মহাস্থান গড় থেকে মাত্র দুই কিঃমিঃ দক্ষিণে গোকুল গ্রামে অবস্থিত বেহুলা-লক্ষিন্দরের বাসরঘর। এই স্থানকে অনেকে গোকুল মেধ বা লক্ষিন্দরের মেধ বলেও জানে। 


বেহুলা ও লক্ষিন্দরের প্রেম কাহিনী সর্বপ্রথম মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লেখ পাওয়া যায়। বেহুলা ও লক্ষিন্দরের ভালোবাসার গল্প গ্রাম-বাংলার মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত। বেহুলা ও লখিন্দরের প্রেমগাঁথা অমর এক লোককাহিনী। ধারনা করা হয় খ্রিস্টাব্দ সপ্তম শতাব্দী থেকে ১ হাজার ২০০ শতাব্দীর মধ্যে এটা নির্মান করা হয়। আনুমানিক ১৭২টি কক্ষ আছে এখানে। বেহুলার বাসর ঘর একটি অত্যান্ত সুন্দর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। গবেষকদের মতে, এ মনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। এ স্তূপটি বাসর ঘর নয়। এ স্তূপটির পশ্চিমাংশে আছে বাসর ঘরের স্মৃতিচিহ্ন। পূর্বাংশে রয়েছে চৌবাচ্চাসদৃশ একটি স্নান ঘর। ব্রিটিশরা ১৯৩৪-৩৬ সালের দিকে প্রথম এখানে খনন কাজ চালায়। এরপর এই স্থানটি অখননকৃত অবস্থায়ই থেকে যায়। ফলে এটা যে আসলে কি ছিল তা এখনও অজানা। তবে বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসরঘরের ইতিহাসটাই প্রচলিত হয়ে গেছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.