পাগল করোনা রোগী ছাদ থেকে পা দোলাচ্ছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার



Odd বাংলা ডেস্ক: রবিবার বিকেলটা আর পাঁচটা দিনের মতো ছিল না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জন্য। কারণ তখন মেডিক্যাল কলেজের ছাদ থেকে পা দোলাচ্ছে এক করোনা রোগী। ভর্তি হওয়ার পর স্বাভাবিক থাকলেও করোনা ধরা পড়ার পর সব ওলট পালট। এমনিতেই করোনা আক্রান্ত শয়ে শয়ে রোগীকে নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা কলকাতা মেডিকেল কলেজের। তার উপর দোসর আপাত মানসিক ভারসাম্যহীন করোনা আক্রান্ত এক যুবক। কয়েকদিন আগে তাকে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তখনও সব ঠিক ছিল। কিন্তু যখন রিপোর্টে দেখা গেল সে করোনা পজিটিভ, তখন ঘটল বিপত্তি।  শনিবার থেকেই করোনা আক্রান্ত এই যুবকের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে যায় চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে হাসপাতালের নিরাপত্তায় থাকা বউ বাজার থানার পুলিশকর্মীরা। এখানে আসার পর থেকেই অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন এই যুবক। শনিবার দুপুরে হাসপাতালের কর্মীরা খাবার দিতে গেলে বালিশ তোশক নিয়ে তাঁদের দিকে ছুড়ে মারেন এই যুবক। এরপর খাটের তলায় কখনও লুকিয়ে পড়ছেন, কখনো বা ওয়ার্ড থেকে বাইরে পালাবার চেষ্টা করছেন। ওয়ার্ডের দরজা আটকেও নিস্তার নেই। কাচের জানলা খুলে বাইরে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সে এক ভয়াবহ কান্ড! চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রত্যেকেই হতবাক হয়ে যান যুবকের কার্যকলাপে। রবিবার বিকেলের পর থেকে করোনা আক্রান্ত এই যুবক কালঘাম ছুটিয়ে দেন গোটা হাসপাতালের। সন্ধ্যার পরই তিনি হঠাৎই দৌড়ে দশ তলার ছাদে চলে যান। পিপিই পড়ে হাসপাতাল কর্মীরা তাঁকে ধরতে গেলে কোনও সময় ভেংচি কেটে, কখনও বা ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। সেই অবস্থায় কর্মীরা তাঁকে ধরতে গেলে লাফ দিয়ে ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে পড়েন। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁকে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয় না। রাতের দিকে আবার ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে সাত তলা থেকে এক তলায় নেমে আসেন ওই যুবক । আবার তাঁকে ধরতে গেলে নীচে লাফিয়ে পড়েন । তাতে হালকা আঘাত লাগে করোনা আক্রান্ত এই যুবকের। আবারও তাঁকে বেডে নিয়ে এসে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়।

এই রোগীকে নিয়ে এখন কার্যত অশান্তিতে গোটা মেডিক্যাল কলেজ। অনেকেই বলছেন কখন যে কী হয় বলা মুশকিল। আবার কেউ কেউ বলছেন এই পাগলের কারণে হাসপাতালের অন্যরা আবার করোনা আক্রান্ত না হয়ে যায়। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.