চা বিক্রি করেই বিদেশ ভ্রমণে যান এই বৃদ্ধ দম্পতি, ইতিমধ্যে ঘুরে নিয়েছেন ২৩টি দেশ


Odd বাংলা ডেস্ক: 'আমি সুদূরের পিয়াসী'- বহুদিন আগেই কবি লিখে গিয়েছেন একথা। কিন্তু সুদুরের পিয়াসী হতে গেলে একদিকে আর্থিক সম্বলের তো প্রয়োজন, তেমনই মনের মধ্যে চাই ঘুরে বেড়ানোর প্রবল ইচ্ছাশক্তি। আর এই ইচ্ছাশক্তিকে সঙ্গী করেই চা বিক্রি করেই দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ান এই বৃদ্ধ দম্পতি। 

তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট শহর কোটি-তে 'শ্রী বালাজি কফি হাউস' নামে একটি চা-কফির দোকান চালান ওই বৃদ্ধ দম্পতি। আর চা বিক্রি করে উপার্জন থেকেই বিদেশ-বিভুঁই ঘুরে বেড়ান সত্তর বছর বয়স্ক বিজয়ন এবং মোহনা। সারা দিন চা-কফি-বিস্কুট বা টুকটাক স্ন্যাক্স বিক্রি করে যা আয় হয়, তার থেকে ৩০০ টাকা করে তাঁরা সরিয়ে রাখতেন আলাদা করে। এক বছরে মোটামোটি ১ লক্ষ টাকা মতো জমে। আর সেই জমানো টাকা নিয়েই বেরিয়ে পড়েন বিদেশ ভ্রমণে। তবে সেই ভ্রমম বিলাসবহুল নয় কখনওই। রীতি মতো কষ্ট করে অর্থ জমিয়ে সেইসঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার করে বেড়াতে বেরোন যুগলে। ফিরে সেই এই ঋণ মেটানও দুজনে। যাতে টাকা বেশি অপচয় না হয়, তার জন্য দোকানে কোনও কর্মী রাখেননি তাঁরা। 

জানা যায়, বিগত ৫০ বছর ধরে চা বিক্রি করেন তাঁরা। প্রথমে কোটির রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতেন বিজয়ন। এরপর মোটামোটি আয় বেড়ে যাওয়ার পর তিনি সেখানে চায়ের দোকান খোলেন। এরপর ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে ইতিমধ্যেই সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পেরু, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, আমেরিকাসহ ২৩ দেশ ঘুরে ফেলেছেন দম্পতি। তবে এখনও সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ের মতো দেশে যাওয়া হয়নি তাঁদের। আর এবার সেই উদ্দেশেই টাকা জমাচ্ছেন তাঁরা। বৃদ্ধ বিজয়ন হেঁসে বলেন, ঘুরতে যাওয়ার বেজায় শখ তাদের। আর সেই শখ পূরণ করে তাঁদের এই চায়ের দোকান।

প্রসঙ্গত, বিজয়ন ও মোহনাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি তথ্যচিত্র। পরিচালক এম মোহাননের সেই ছবির নাম 'ইনভিসিবল উইংগস'। ছবিটি ২০১৮ সালে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস-এ সেরা নন-ফিকশন ফিল্মের পুরস্কার জিতে নিয়েছিল।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.