হিংসা-হানাহানি-প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়েই শেষ হবে কলিযুগ? কী হবে তারপর?


Odd বাংলা ডেস্ক: পুরাণ কাহিনি থেকে অনেকেই হয়তো জানেন যে, কুরুক্ষেত্রের যু্দ্ধে এক সময়ে অর্জুন তাঁর অস্ত্র ছেড়ে দেন এই বলে যে, তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে তিনি আর যুদ্ধ করবেন না। তখনই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বোঝাতে শুরু করেন কেন এই যুদ্ধের প্রয়োজন। 

শ্রীকৃষ্ণের সেই বাণীই জীবনের সার সত্য বলে বিবেচিত হয়ে আসছে এবং  তা ভাগবত গীতা রূপে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ববাসীর মনে। বলা হয়, কৃষ্ণ-অর্জুনের সেই কথপোকথন চলাকালীন সময় থেমে গিয়েছিল। দ্বাপর যুগ শেষ হয়েছিল কুরুক্ষেত্র যু্দ্ধ দিয়েই।  শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নশ্বর দেহ ত্যাগ করার পর থেকেই কলিযুগের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় বলে মনে করা হয়।

বৈদিক গণনা অনুসারে, কলিযুগ যখন তার শীর্ষে পৌঁছবে, তখন পৃথিবীতে ধ্বংসলীলা চলবে। শুধু যে মানুষে মানুষে মারামারি-হানাহানি হবে তাই-ই নয়, ঘটবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও। সেই ইঙ্গিত থেকে স্পষ্ট হবে যে, পৃথিবী সম্পূর্ণভাবে শেষ হতে চলেছে।

কিন্তু, কী হবে তারপর ?- মনে করা হয়, কলিযুগের শেষে আবারও সময় থেমে যাবে বলে। ধ্বংসলীলার শেষে সমগ্র বিশ্ব এক অন্ধকার জগতে পরিণত হবে। প্রত্যেকটি মানুষকে তখন ভাবতে হবে এমন নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে কী শিখলাম আমরা। তা হল- অবিশ্বাস, অসহিষ্ণুতা, ঈর্ষা, দ্বেষের মতো মানসিকতা নিয়ে জীবন কখনওই চলতে পারে না। বরং নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা, ভক্তি, বিশ্বাস গড়ে তোলাই আসল। আর সেইভাবে পৃথিবী দেখবে নতুন আলোর পথের দিশা- সত্যযুগ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.