সতীনের বাড়িতে আটকে স্বামী, লকডাউনে স্বামীকে ঘরে ফেরাতে পুলিশে ফোন প্রথম স্ত্রীর



Odd বাংলা ডেস্ক: এখনও দেশের কন্টেইনমেন্ট জোন গুলিতে লাগু আছে লকডাউন। করোনা ভাইরাসের লকডাউনে এক নতুন সংকট দেখা দিয়েছে বেঙ্গালুরুতে। জমে উঠেছে দুই সতীনের লড়াই। লকডাউনের মাঝে সতীনের ঘর থেকে স্বামীকে ফেরাতে পুলিশকে ফোন করলেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। চুক্তি অনুযায়ী এক একজনের কাছে সাত দিন করে থাকার কথা স্বামীর। চুক্তি মেনে তাই করছিলেন স্বামী।


কিন্তু সমস্যা বাঁধাল লকডাউন। ফলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতেই আটকে রয়েছেন স্বামী। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের থেকে অতিরিক্ত সময় কাটিয়ে ফেলেছেন তাঁর স্বামী। চুক্তি মত এখন তাঁর সঙ্গে থাকার কথা স্বামীর। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। তাই পুলিসকে তাঁর স্বামীকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছ থেকে এনে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে বেঙ্গালুরু থেকে। জানা গিয়েছে, পূর্ব বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং এক সন্তান থাকার কথা সম্পূর্ণ চেপে গিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বছর দু’য়েক আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টির প্রতিবাদ করে বেঙ্গালুরু পুলিশের মহিলাদের হেল্পলাইনে জানান প্রথম পক্ষের স্ত্রী। কিন্তু স্বামীর অনুরোধে বিষয়টি নিয়ে আর কোনও আইনি কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। গত ২১ মার্চ তিনি দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছে থাকতে যান। এর পরেই বাঁধে বিপত্তি। লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় ২৮ মার্চ আর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে পৌঁছতে পারেননি ওই ব্যক্তি। এ দিকে স্বামীকে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন যুবকের প্রথম পক্ষের স্ত্রীও। বার বার স্বামীকে ফোন করতে থাকেন তিনি। বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রায় ফুরিয়ে এসেছিল। প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ওই যুবক জানান, কোনওভাবে সম্ভব হলেই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু দিনের পর দিন স্বামী না ফেরায় শেষ পর্যন্ত পুলিশের মহিলা হেল্পলাইনে ফোন করেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.