মৃত্যুর আগেই দেওয়া হল কবর
Odd বাংলা ডেস্ক: যারা জীবন্ত অবস্থায় কবর দেওয়ার ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তাদের ‘ট্যাপোফোবিয়া’য় আক্রান্ত বলা হয়। এ ধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা সাধারণত সিনেমায় ভিলেনদের ঘটাতে দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবেও যে এমন ঘটনা ঘটে না, তা হলফ করে বলা যায় না! জীবন্ত কবর দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু কাহিনি প্রচলিত আছে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ করেই ব্রাজিলের রিকায়ো ডাস নিভস শহরের সেনহোরা সান্তানা কবরস্থান থেকে প্রতিবেশীরা আর্তনাদ শুনতে পান। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, হয়তো শিশুরা দুষ্টুমি করছে! কিন্তু একটানা শব্দে তারা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। তারা দেখতে পান কবরটা রোসাঞ্জেলা আলমিদার। তাদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে আনা হয়। কফিন থেকে রোসাঞ্জেলা আলমিদার মৃতদেহ বের করে নিয়ে এসে পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায, তার শরীরে কিছু ক্ষত রয়েছে যা কবর দেওয়ার সময় ছিল না। তার শরীর তখনও হালকা গরম ছিল। ধরে নেওয়া হয়, সে কফিন থেকে বের হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে! কিন্তু একজন মৃত মানুষের পক্ষে তা কীভাবে সম্ভব?
রোসাঞ্জেলাকে কবর দেওয়ার ১১ দিন পর এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের বিশ্বাস, কবর দেওয়ার সময় সে জীবিত ছিল! যদিও ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর সেপটিক শক-এ রোসাঞ্জেলার মৃত্যু ঘটে।
এমন ঘটনা হন্ডুরাসের নেইসি পেরেজের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। নেইসি মৃত্যুর সময় গর্ভবতী ছিলেন। মৃত্যুর একদিন পর তার স্বামী কবরস্থানে যান। তখন তিনি কফিনের ভেতর থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান। দ্রুত কবর খুঁড়ে কফিন বের করে নিয়ে আসা হয়।
পরিবারের লোকজন নেইসিকে ফিরে পাওয়ার আশায় উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তারা কফিনের একটি অংশ ভাঙা দেখতে পান। নেইসির শরীর তখনও গরম ছিল। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে নেইসিকে আর জীবিত পাওয়া যায়নি। তাকে পুনরায় একই কবরে কবর দেওয়া হয়।
এরকম আরেকটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এবং এটি কোনো অনিচ্ছাকৃত ভুল নয় বরং ইচ্ছাকৃত শিশুহত্যা। উত্তর ভারতের এক যুগল তাদের নবজাতক শিশুকে জীবিত অবস্থায় মাটির পাত্রে রেখে কবরস্থ করে। মানুষজন কবরস্থান থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে কবর খুঁড়ে মাটির পাত্র থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ওই নবজাতককে কবর দেওয়ার ৬ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী খবর অনুযায়ী, শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তবে এভাবে দীর্ঘক্ষণ থাকার পরেও শিশুটিকে জীবিত পেয়ে চিকিৎসকরা বিস্মিত হন। ওই যুগলকে পুলিশ শিশুহত্যা চেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তার করে।
Post a Comment