হিন্দি সিনেমার ‘জোর করে যৌনতা’ দৃশ‍্যে যে ভুলগুলি আজও হয়ে চলেছে




Odd বাংলা ডেস্ক: মূল ধারার হিন্দি সিনেমায় যৌ’নতার কতরকম যে মাত্রা! নায়িকার বৃষ্টি ভেজা শাড়ির আঁচল ছুঁয়ে, ফুলের আড়ালে গোপন হওয়া নায়ক-নায়িকার চু’ম্বনের দৃশ্য হয়ে এখন তা যাত্রা করেছে নায়ি‌কার বি’কিনি-সৌন্দর্য্যের দিকে। এই যৌ’নতারই আর এক মাত্রা ‘জোর করে যৌ’নতা’-র সিন। এক নিরপরাধ মেয়ের ভাগ্যবিপর্যয়ের ঘটনা হিন্দি ‌ফিল্ম নির্মাতাদের উদ্ভট পরিকল্পনায় এক উপভোগ্যতার মাত্রায় পৌঁছে যায়। সেই পরিকল্পনাতেও অযুক্তি আর কু’যুক্তির ফাঁক যে থাকে না তা নয়। কীরকম? দেখে নেওয়া যাক—

ভিলেন আর কিছু করুক না করুক ‘জোর করে যৌ’নতা’ করার সময়ে একটা রাক্ষুসে ‘হা হা’ হাসি হাসবেই।

‘জোর করে যৌ’নতা’-র সময়ে মেয়েদের চেনা ডায়লগ ‘নেহি নেহি’, আর ‘মুঝে ভগওয়ান কে লিয়ে ছোড় দো’। পরিচি‌ত কারোর নাম ধরে ডাকবার কথা তাদের মনেও আসে না। ‘ভগবানের জন্য’ ছেড়ে দিলে ভগবানই বা মেয়েটিকে নিয়ে কী করবেন তা ভগবানই জানেন।

সিনেমার ভিলেনরা ম’দ না খেয়ে ‘জোর করে যৌ’নতা’ করতে পারে না। অথচ ডাক্তারি মত হল, ম’দ খেলে মানুষের স্নায়ু শিথি‌ল হয়। ফলে যৌ’ন চাহিদাও হ্রাস পায়।

ভিলেনরা মেয়েদের আঁচল ধরে টানতে শুরু করলেই মেয়েরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করে, যাতে পাকে পাকে সহজেই খুলে আসে শাড়ি।



‘জোর করে যৌ’নতা’-র সময়ে মেয়েরা বেছে বেছে এমন ব্লাউজ পরে আসে যা একটু টানাটানিতেই ছিঁড়ে যায়।

‘জোর করে যৌ’নতা’-র সিন-এর চেনা পরিপ্রেক্ষিত বৃষ্টি। বৃষ্টির সময়ে অনিবার্যভাবেই নায়িকার কাছে ছাতা থাকবে না। আর বৃষ্টিতে চুপচুপে ভিজে যাওয়ার পর, কেন কে জানে, পোড়ো বাড়ি বা ঝোঁপের আড়ালে তক্ষুণি তাঁদের পোশাক বদলানোর প্রয়োজন হয়ে পড়বেই। সম্ভাব্য ভিলেনরা সে সময়ে নির্ঘাৎ ওত পেতে রয়েছে কাছেই। আর এই সুযোগেই…

‘জোর করে যৌ’নতা’ যে মাত্রারই হোক না কেন তার অনিবার্য পরিণতি মেয়েটির গ’র্ভব’তী হয়ে পড়া।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.