ভারতীয় দুই কিশোরীর বাজিমাত, আবিষ্কার করলেন নতুন গ্রহ



Odd বাংলা ডেস্ক: কিশোর বয়সেই বাজিমাত। প্রশিক্ষণের পরই নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়ে গেলেন ১৪ বছরের ভারতীয় দুই কিশোরী। ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই টেলিস্কোপের সাহায্যে নেয়া চিত্রের মাধ্যমে নতুন গ্রহটি আবিষ্কার করেন তারা। 

 মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জানা গেছে, ভারতের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস ইন্ডিয়াতে ওই দুই কিশোরী টেলিস্কোপের ছবি পর্যবেক্ষণ করে গ্রহাণুর সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ নেন। ওই দুই কিশোরী শিক্ষার্থীর মধ্যে বৌহিহি ভেকারিয়া জানান, গ্রহটিকে প্রাথমিকভাবে পৃথিবীর কাছের একটি বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেটি অন্তত ১০ মিলিয়ন বছর পর পৃথিবীর মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। 

এটি চাঁদের মতোই নির্দিষ্ট কক্ষপথে বিচরণ করছে। এর নামকরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। বৌহিহি ভেকারিয়া বড় হয়ে নভোচারী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। স্পেস ইন্ডিয়ার জানায়, নতুন আবিষ্কার করা গ্রহটির নাম এইচএলভি ২৫১৪ হতে পারে। তবে সেটির জন্য নাসার কক্ষপথ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। গ্রহটি আবিষ্কারের সময় বৌহিহির সহযোগী ছিলেন রাধিকা লাখানি। লাখানি জানান, পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিতে তার বাড়িতে টেলিভিশনও নেই। 

 কিশোরীদের আবিষ্কৃত গ্রহাণুটি বর্তমানে মঙ্গল গ্রহের কাছে অবস্থান করছে। প্রায় দশ মিলিয়ন বছরের মধ্যে গ্রহের কক্ষপথটি পৃথিবীকে অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহটির সংঘর্ষ হতে পারে। আইএএসসির পরিচালক জে প্যাট্রিক মিলার দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে পাঠানো এক ইমেইলে তাদের আবিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই দুই কিশোরী ভারতের গুজরাটের সুরাটের বাসিন্দা। 

তারা নাসার বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসন্ধান সহযোগিতা (আইএএসসি) ও স্পেস ইন্ডিয়ার যৌথ পরিচালনায় গ্রহাণু অনুসন্ধান অভিযানের অংশ হিসাবে কাজটি হাতে পান। সাধারণত গ্রহাণু ও ধূমকেতু পৃথিবীর জন্য বিপদ সংকেত নিয়ে আসে। বিজ্ঞানীরা প্রতি বছর এ ধরনের অসংখ্য সংকেত দেন। গত ২০১৩ সালে মধ্য রাশিয়ায় একটি গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল। যা ছিল আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ভারী। ফলে ওই ঘটনায় এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.