ইসলাম দেশে বিরাজ করছে এই হিন্দু মন্দির, দেবতাকে পাহারা দিচ্ছে বিষধর সাপেরা


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারত-সহ গোটা বিশ্বজুড়ে হিন্দু মন্দিরের অভাব নেই, তবে মুসলিম-প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ার একটি মন্দির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃহত শিলা দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরটি সাগর উপকূলে অবস্থিত। জানা যায়, কয়েক হাজার বছর ধরে সমুদ্রের জোয়ারের ক্ষয়ে ক্ষয়ে এই পাথরগুলি তৈরি হয়েছিল। অভিনব এই মন্দিরটি নির্মাণের গল্পটিও খুব আকর্ষণীয়, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও।

এই মন্দিরটি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অবস্থিত, যা ‘তানাহ লোট মন্দির’ নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে, স্থানীয় ভাষায়, 'তানাহ লট' কথার অর্থ সমুদ্র-স্থল। এই মন্দিরটি বালির সমুদ্র তীরে নির্মিত সাতটি মন্দিরের মধ্যে অন্যতম। এই সাতটি মন্দির শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে নির্মিত, যার একটি অভিনব বিশেষত্ব রয়েছে। তা হল, প্রত্যেকটি মন্দিরে দাঁড়িয়ে তার পরের মন্দিরটি  স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

১৯৮০ সাল নাগাদ এই মন্দিরটি যে পাথরের উপরে দাঁড়িয়েছিল, তা দুর্বল হতে শুরু করে, আর এরপর থেকে মন্দির এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলটিকে বিপজ্জনক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে জাপান সরকার ইন্দোনেশিয়ান সরকারকে এটি বাঁচাতে সাহায্যও করেছিল। তারপরে মন্দিরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিলা কৃত্রিম শিলা দিয়ে আচ্ছাদিত করে এর এক নতুন চেহারা দেওয়া হয়।

কথিত আছে, পঞ্চদশ শতকে নীরার্থ নামে এক পুরোহিত দ্বারা 'তানাহ লট' মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। উপকূল ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছিলেন, তার পরে তিনি এই জায়গাটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং সেখানেই পাহাড়ে প্রকৃতির কোলে রাত্রিযাপন করেছিলেন। তিনিই এই জায়গাটিতে সমুদ্র দেবতার মন্দির নির্মাণের জন্য আশেপাশের জেলেদের অনুরোধ করেছিলেন। জানা যায় ওই মন্দিরে পুরোহিত নীরার্থ-কেও পুজো করা হয়।

বিশ্বাস করা হয় যে, এই মন্দিরের পাথরের নীচে রয়েছে বিষাক্ত সব বিষধর সাপ। তারাই সবরকমের নেতিবাচক শক্তি এবং নেতিবাচক মানুষের কবল থেকে এই মন্দিরকে রক্ষা করে আসছে। কথিত আছে যে, পুরোহিত নীরার্থই তাঁর সমস্ত শক্তি দিয়ে একটি বিশাল সমুদ্র সাপ তৈরি করেছিলেন, যা এখনও এই মন্দিরের সুরক্ষায় কড়া পাহারা দিচ্ছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.