পবিত্র তীর্থক্ষেত্র অমরনাথ সম্পর্কে কিছু অসাধারণ তথ্য, যা শুনলে অবাক হবেন আপনি


Odd বাংলা ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অমরনাথ একটি অত্যন্ত পবিত্র তীর্থক্ষেত্রে। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে না পড়লেও তুষারলিঙ্গ অমরনাথের মহিমা একেবারেই স্বতন্ত্র। পুরাণ এবং শৈব ঐতিহ্য থেকে সংগৃহিত কিছু অসাধারণ তথ্য তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

১) পুরাণ মতে, মহাদেব পার্বতীকে অমরত্বের শিক্ষা প্রদানের জন্য অমরনাথ গুহাকে বেছে নিয়েছিলেন।


২) যখন শিব পার্বতীকে অমরত্ব সম্পর্কে জ্ঞানদান করছিলেন, তখন সেখানে কোনও জীবিত প্রাণী ছিল না। কেবল একটি পায়রার ডিম সেখানে থেকে গিয়েছিল। কথিত আছে এই ডিম থেকে একজোড়া পায়রা জন্মায়। এবং তারা অবধারিতভাবে অমরত্ব লাভ করে। এদের নাকি আজও গুহার ভিতরে দেখা যায়।

৩) যেখান থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়, সেই পহেলগামে শিব তাঁর ষাঁড় নন্দীকে রেখে গিয়েছিলেন। চন্দনওয়াড়িতে তিনি রেখে যান শিরস্থ চন্দ্রকে এবং শেষনাগে তিনি তাঁর দেহে বিচরণরত সর্পকুলকে রাখেন। গণেশকে রাখেন মহাগণেশ পর্বতে। এরপর বায়ু, অগ্নি, জল, মৃত্তিকাকে রাখেন পঞ্জতরণী নামক স্থানে। প্রায় সব নির্মোক ত্যাগ করেই তিনি পার্বতীকে নিয়ে অমরনাথের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।

৪) অমরনাথ গুহাটি আবিষ্কার করেন বুটা মালিক নামে এক মুসলমান মেষপালক। তিনি এখানে এক সন্ন্যাসীর দেখা পান। সন্ন্যাসী তাঁকে একটা থলিতে কিছু কয়লা দান করেন। পরে সেই কয়লা সোনায় পরিণত হয়। বুটা সেই স্থানে ফিরে যান। কিন্তু সেই সন্ন্যাসীকে আর দেখতে পাননি। বদলে তিনি দেখাতে পান অমরনাথ লিঙ্গ।


৫) অমরনাথ তুষারলিঙ্গের বৃদ্ধি চন্দ্রকলার উপরে নির্ভরশীল। শিবলিঙ্গ ছাড়াও আরও দু-টি লিঙ্গ এই গুহায় রয়েছে। এদের পার্বতী ও গণেশ বলে মনে করা হয়।

৬) অমরনাথ গুহার বয়স আনুমানিক ৫০০০ বছর। প্রতি বছর অগণিত মানুষ অমরনাথ যাত্রা করেন। শ্রাবণে এই যাত্রা শুরু হয়।দু’টি পথে অমরনাথ যাত্রা সম্পন্ন হয়— পহলগাম রুট এবং এবং বালতাল রুট।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.