অ্যাম্বুল্যান্স নেই, ঝুড়িতে ঝুলে গর্ভবতী গেলেন হাসপাতালে!
Odd বাংলা ডেস্ক: দুর্গম অঞ্চলে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছতে পারবে না। তাই ভাঙা পাথর বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঝুড়িতে এক গর্ভবতী নারীকে বসিয়ে কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন ওই নারী। তিনি এবং সদ্যোজাত- দুজনই ভালো আছেন।
#WATCH Chhattisgarh: Health care workers in Kondagaon's Mohanbeda village yesterday carried a pregnant woman on a makeshift basket, to take her to hospital for delivery. Ambulance could not reach her village due to absence of road, so they carried her to hospital in the basket pic.twitter.com/di7poWoYhf— ANI (@ANI) July 8, 2020
গত মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ছত্তিশগড়ের কন্দাগাঁওয়ের মহানবেদা গ্রামে নেই পাকা রাস্তা। তাই অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার কোনো প্রশ্নই আসে না। এদিকে প্রসবযন্ত্রণায় ছটফট শুরু করেছেন এক নারী। তাই কোনোমতে বেতের ঝুড়িতে তাঁকে ঝুলিয়ে হাসপাতালের পথে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এ ঘটনা দেশটির কন্দাগাঁওয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার টিআর কানওয়ার বলেন, নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু রাস্তা না থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছতে পারেনি। যার কারণে এই হয়রানির শিকার হতে হলো ওই নারী ও তাঁর পরিবারকে।
গ্রামের মানুষ জানিয়েছে, এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার এভাবেই গ্রাম থেকে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার তা সংবাদমাধ্যমের চোখে পড়ে যাওয়ায় এত আলোচনা হচ্ছে। বস্তুত এর আগে এভাবে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। তবু প্রশাসন নীরব।
শুধু কন্দাগাঁও নয়, ভারতের বহু গ্রামেই এই একই ছবি দেখতে পাওয়া যাবে। এর আগে কোলে করে মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবি ভারতের নাগরিক দেখেছে। দেখেছে অসুস্থ শিশুকে কাঁধে নিয়ে বাবাকে হাঁটতে। একেকটি ঘটনা ঘটে, কিছুদিন আলোচনা হয়, তারপর সবাই সব ভুলে যান।
Post a Comment