চিনের কড়া জবাব, বন্ধ করে দেওয়া হরল মার্কিন দূতাবাস



Odd বাংলা ডেস্ক: সংঘাতের পথে এগিয়ে চলেছে আমেরিকা ও চিন। কয়েক দিন আগেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে টেক্সাসের হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেয় ওয়াশিংটন। জবাবে গতকাল দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং। চেংদুতে দূতাবাস বন্ধে বেইজিংয়ের নির্দেশের পর শনিবার মার্কিন কনস্যুলেটের বাইরে কয়েক হাজার চিনা জাতীয়তাবাদী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। সে সময় দূতাবাসের অভ্যন্তরীণ কর্মীরা জিনিসপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের কড়া পুলিশ প্রহরা ও সুরক্ষা নিয়ে তিনটি ট্রাক এবং একটি বাসে করে কম্পাউন্ড ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকজন কর্মীকে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে যেতেও দেখা গেছে। তাদের অস্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো বিভিন্ন ধরণের বাক্সে ভরা হয়েছিল।

ভারি ভারি বাক্সগুলো স্কুটারে তুলে কম্পাউন্ডটি ত্যাগ করেছিলেন। ক্লিনাররা বড় বড় কালো রঙের ব্যাগ টেনে নিচ্ছিলেন। সেগুলো সম্ভবত সংবেদনশীল উপকরণ দিয়ে পূর্ণ ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংদু আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে বিশেষত বিবেচিত না হলেও, শুক্রবার বেইজিং মার্কিন মিশন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরে এই শহরটি চিনা জাতীয়তাবাদী মনোভাবের প্রসার ঘটানোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এর আগে শুক্রবার এক নির্দেশিকা জারি করে বেইজিং বলছে, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনোরকম কাজ চালানো যাবে না। বাণিজ্য এবং করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। পাশাপাশি হংকংয়ে চিনের বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি করা নিয়েও চিনের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া অযৌক্তিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ এবং জরুরি’ পদক্ষেপ। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বর্তমান পরিস্থিতি যেরকম, চিন তা চায় না। আর এর পুরো দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.