গির্জার ফাদারের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, তাকে বিয়ে করতে আদালতে আর্জি ধর্মগুরুর



Odd বাংলা ডেস্ক: গির্জায় বসবাসকারী ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এক ফাদার। তার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এই ঘটনার পর গির্জা থেকে সেই মেয়েটিকে বেরও করে দেওয়া হয়। এরপর ফাদারের বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে দোষী হিসেবে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার কিশোরীকেই বিয়ে করার জন্য আদালতে আবেদন জানাল সেই ফাদার। ফাদার রবিন ভাদাক্কুমচেরি নামে ওই ব্যক্তি ভারতের কেরালা হাইকোর্টে তার আবেদন পেশ করেছে। বর্তমানে ২০ বছরের সাজা খাটছে ৫২ বছরের এই অপরাধী। বিয়ের প্রস্তুতির জন্য দু’মাসের জামিনেরও আবেদন করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পক্সো ধারায় রবিনকে দেওয়া সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরালা হাইকোর্টে মামলা করে গির্জার প্রাক্তন ফাদার। সেই মামলা এখনও ঝুলছে। বুধবার বিচারপতি সুনীল টমাসের কাছে অপরাধী আবেদন করার পর তাকে জামিনে মুক্তি না-দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। 

 পিটিশনারের দাবি, রবিন ও মেয়েটি প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। আর মেয়েটি সাবালিকা ছিল। তার অনুমতিতেই যৌনমিলন করেছিল রবিন। তারা বিয়ের জন্য পরিকল্পনা করছে বলে আদালতকে জানিয়েছে পিটিশনার। ট্রায়াল চলাকালীন মেয়েটির যে ছেলে হয়, তার বাবাও সে বলেই মেনে নিয়েছে রবিন। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, বিয়ের আগেই শিশুটি জন্মানোয় এটিকে ধর্ষণের ঘটনা বলে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই কাজ পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের একাংশ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তার জেরেই শুরু হয় মামলা। তবে দেশটির সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ওই মামলার শুনানি চলার সময় একবারও মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায় বলে জানায়নি অপরাধী। আর ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পরেই মেয়েটির জন্ম দেওয়া শিশুকে নিজের বলে মানতে বাধ্য হয়েছে রবিন। অপরাধের সময় মেয়েটি সাবালিকাও ছিল না বলে দাবি সরকার পক্ষের আইনজীবীর। দেশটির হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে আগামী ২৪ জুলাই।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.