চায়ের নেশায় হাসপাতাল থেকে পলাতক করোনা রোগী, আতঙ্কে চা-দোকানি!



Odd বাংলা ডেস্ক: মারণ ভাইরাস করোনা থাবা বসিয়েছে তার শরীরে। তাই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন। সে কারণে সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে দিব্যি ছিলেন তিনি। তবে বৃদ্ধের দাবি একটাই, মাঝে মধ্যে নেশা মেটাতে তাকে গরম গরম চা খেতে দিতে হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্মীরা তার সেই দাবিতে কান দেননি। অগত্যা মধুসূদন, নেশার টানে চায়ের দোকানের খোঁজে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ নিজেই।

পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ঠিকই। তবে এই ঘটনার পর থেকেই করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন চায়ের দোকানি। ব্যাঙ্গালুরুর নাগারভাবির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের শরীরে সেই কবেই বাসা বেঁধেছিল ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করা পরিমাণ ছিল যথেষ্ট বেশি। তার উপর আবার দিনকয়েক ধরে একটুতেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। তাই কোনো ঝুঁকি নেননি তার পরিবার। ভর্তি করিয়েছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, বৃদ্ধের শরীরে বর্তমানে বাসা বেঁধেছে মারণ ভাইরাস করোনা।

ওই বেসরকারি হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা হয় তার। পরে আর্থিক কারণে সেখান থেকে সরিয়ে বৃদ্ধকে মাইসুরু রোডের এক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়।

এদিকে, প্রতিদিন মুখের সামনে গরম গরম চায়ের পেয়ালা দেখেই ঘুম চোখ খুলতে অভ্যস্ত ওই বৃদ্ধ। কিন্তু হাসপাতালে সেই নিয়ম বদল। ঘড়ির কাঁটায় পাঁচটা বাজতে না বাজতেই চায়ের দাবি জানাতে থাকেন করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধ। তা মেলেনি। ঘণ্টাদুয়েক পর তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। চায়ের দোকানের খোঁজে হাসপাতাল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। কিছু দূরেই একটি চায়ের দোকানও দেখতে পান। সেখানেই ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দিয়ে সবে গলা ভিজিয়েছেন। এমন সময়ে তার হাতের স্যালাইনের নল দেখে এক ব্যক্তির কৌতূহল জাগে। তিনি জানতে চান কী হয়েছে? বৃদ্ধের সাফ জবাব, তিনি করোনা আক্রান্ত। হাসপাতালে চা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। সে কথা শুনে চায়ের দোকানের সকলেই হতচকিত হয়ে যান। এরপর ওই চায়ের দোকান মালিকই হাসপাতালে খবর দেন। হাসপাতাল কর্মীরা খবর পাওয়া মাত্রই চায়ের দোকান থেকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করেন। তবে চায়ের দোকানি-সহ ওই বৃদ্ধ করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা আপাতত উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। সংক্রমণের আশঙ্কায় চিন্তিত সবাই।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.