বাতাসে ভেসে ৬ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে করোনাভাইরাস, হু-কে সতর্ক করলেন ২০০-এরও বেশি বিশেষজ্ঞ


Odd বাংলা ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালের বিশেষজ্ঞসহ ৩২ দেশের ২৩৯ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছে, মারণ করোনাভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়াতে সক্ষম। তাঁদের দাবি বলছেন, বাস কিংবা ছোট ঘরের মতো বদ্ধ জায়গায় এই ভাইরাস ৬ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে! প্রসঙ্গত, অনেক আগেই চিন-সহ একাধিক দেশের বিশেষজ্ঞরাও এই একই দাবি করেছিলেন।

এনিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়ে তাঁরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনা করে বলছেন, করোনা ভাইরাস যে বাতাসে ভেসে থাকার মাধ্যমে এক বিরাট আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি করছে তা নিয়ে হু-এ তরফে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। বলা হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন কেবল মাত্র দুই ধরনের সংক্রমণের মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। একটি হল সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস প্রশ্বাসের ফোঁটা বা ড্রপলেটের মাধ্যমে অন্যের শরীরে ভাইরাস ঢুকে যাওয়া। আর অন্যটি হল চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতি ক্ষুদ্র কণা বা অ্যারোসল কণা দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এমনকি এসব কণা ৬ ফুট পর্যন্ত ভেসে থাকে। ফলে যে সব জায়গায় বাতাস কম বা আবদ্ধ, সে সব জায়গায় আরও বেশি করে প্রভাব বিস্তার করে করোনা ভাইরাস। এসব জায়গায় ১.৮ মিটার দূরত্ব থেকেও কোনও লাভ হয় না। যেমন- বদ্ধ ঘর, যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহন ইত্যাদি।

অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ভাইরাস সংক্রমণের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করা হচ্ছে। এক জন্য হু-কে  চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখা হয়, যাতে সই করেছেন ৩২টি দেশের মোট ২৩৯ জন গবেষক। আগামী সপ্তাহে এটি একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.