ডন বিকাশকে ধরতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, তাঁর নিজের মা বলছেন গুলি করে মারা হোক ছেলেকে



Odd বাংলা ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত ডন বিকাশ দুবে। 'শিবলি ডন' নামে পরিচিত বিকাশ ও তার অনুসারীদের গুলিতে শুক্রবার ভোররাতে ৮ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে মারা যায় দুই সন্ত্রাসীও; কিন্তু তার পরও এখনো ধরা যায়নি কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারকে। মা বলছেন, গুলি করে মারা হোক তার ছেলেকে। বাবার মতে, আইনানুযায়ী যা সঠিক মনে হয়, করবে সরকার। তবে পরিবারের মত যা-ই হোক না কেন, পুলিশের কাছে এখনো অধরা গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। পুলিশ সুপার-সহ ৮ পুলিশকর্মী খুনের পর ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। 

গোটা রাজ্য জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চললেও খোঁজ নেই বিকাশের। শুক্রবার রাতে কানপুরের বিকরু গ্রামে পুলিশের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই একেবারে লাপাত্তা বিকাশ ও তার দলবল। বিকাশকে পাকড়াও করতে নামানো হয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। অভিযান চালাচ্ছে ২৫টিরও বেশি পুলিশের দল। এরই মধ্যে একশোরও বেশি জায়গা তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে তল্লাশি তো চলছেই, বিকাশের খোঁজে নেপাল সীমান্তেও পৌঁছে গেছে পুলিশ। অভিযান চালানো হচ্ছে অন্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। ঘেঁটে দেখা হয়েছে পাঁচশোরও বেশি মোবাইলের তথ্য। এমনকি, বিকাশের সম্পর্কে তথ্যপ্রদানকারীর পুরস্কারমূল্য ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। তবে কোনো ভাবেই সন্ধান মিলছে না বিকাশের। এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা বিকাশের বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি অপরাধমূলক মামলা ঝুলছে। খুন, অপহরণ, দাঙ্গা বাধানো— সব অপরাধেই জড়িয়েছে তার নাম।

 ছেলের এহেন কুকর্মের জন্য অত্যন্ত বিরক্ত বিকাশের মা সরলা দেবী। পুলিশের কাছে তার দাবি, 'যেখানেই হোক, বিকাশকে যেন গুলি করে মারা হয়।' তার কারণও জানিয়েছেন সরলা দেবী। বিকাশের কুকর্মের জন্য তার পরিবারকে লজ্জায় পড়়তে হয়েছে বলেছেন বৃদ্ধা। তার কথায়, 'লোকজন ওই ঘটনার কথা আমাকে জানিয়েছেন। আমিও টিভিতে দেখেছি।' এরপর সরলা দেবীর স্বগতোক্তি, 'যে অন্যদের এত কষ্ট দিয়েছে, তাকে তো পাপের শাস্তি ভোগ করতেই হবে!' সরলা দেবীর মতো কড়া প্রতিক্রিয়া না দিলেও বিকাশের বাবা রামকুমার দুবের মতে, তার ছেলের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সরকারের। তার কথায়, 'সরকার আইন অনুযায়ী চলবে, এ বিষয়ে আমি কী করতে পারি? সরকারের যা সঠিক বলে মনে হয়, তা-ই করা উচিত।' বিকাশের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চললেও অভিযোগ উঠছে, পুলিশের অন্দরেই তার যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি, বৃহস্পতিবার বিকাশকে গ্রেপ্তারের জন্য চালানো অভিযানের খবরও নাকি আগে থেকে জানিয়ে দেন চৌবেপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় তিওয়ারি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.