ছিঃ! বাবা নামের কলঙ্ক
Odd বাংলা ডেস্ক: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঝাড়ফুঁক, মন্ত্রতন্ত্র, জলপড়া বা তান্ত্রিকদের দাপট চলছে দিব্যি। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এই কুসংস্কারের বলি হচ্ছে অনেক জীবন। হরিয়ানার জিন্দ নামক অঞ্চলে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা। আর্থিক সঙ্কট মেটাতে তান্ত্রিকের পরামর্শে এক ব্যক্তি খুন করেছে পাঁচ সন্তানকে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, টাকা পয়সা নিয়ে টানাটানি চলছিল। অনেক চেষ্টাতেও অবস্থা ফেরেনি। শেষে এক তান্ত্রিকের কাছে যায় জুম্মা নামের এক তরুণ।
তার পরামর্শেই নিজের পাঁচ সন্তানকে খুন করে জুম্মা।
তবে এক সঙ্গে ঘটেনি ওই খুনের ঘটনাগুলো। সম্প্রতি দুই মেয়েকে ডুবিয়ে মেরেছে। ২০ জুলাই শিশু দু'টির দেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ২৩ জুলাই গোটা গ্রামের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করে ওই তরুণ। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৫ জুলাই আচমকা দু'টি শিশু, মুস্কান আর নিশা নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন অভিযুক্ত এবং তার স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তের নাম জুম্মা। পুলিশকে সে জানায়, পাঁচ বছর আগে তার এক ছেলে মারা যায়। ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছিল।
তারপর তার এক শিশুকন্যা খেলতে গিয়ে আচমকা মারা যায়। ২০১৯ সালে তার আর এক শিশুপুত্র বমি করতে করতে মারা যায়।
জুম্মা এই ঘটনার কথা জানিয়ে বলে, বিচার চায়। দোষীদের শাস্তি চায়। পুলিশ নিখোঁজের ডায়েরি করে। জুম্মার বয়ান শুনে তাদের সন্দেহ হয়। নিজেরাই খুনের এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
এরপর ২০ জুলাই দু'টি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শিশু দু'টিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে। তার পর পানিতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে।
জুম্মা এই কথা নিজের কয়েক জন প্রতিবেশীর কাছে স্বীকার করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা পুলিশকে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত ৩০ জন গ্রামবাসীর সামনে সব কথা স্বীকার করে জুম্মা।
জিন্দ পুলিশের ডিআইজি অশ্বিন শেনভি জানিয়েছেন, জুম্মা নিজেই দোষ স্বীকার করেছে। তবে তদন্ত চলছে। তার পরেই সব জানা যাবে। তান্ত্রিকের খোঁজ চলছে।
Post a Comment