এবার গরুর ভ্রুণ পরীক্ষা করবে ভারত, ছেলে না মেয়ে জানা যাবে আগেই



Odd বাংলা ডেস্ক: রাজ্যের দুধের ঘাটতি মেটাতে 'সেক্স সটেড সিম্যান ফর আর্টিফিশিয়াল ইনসিমিনেশন' পদ্ধতির মাধ্যমে গাভীর প্রজননের দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মহাকরণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী তথা মন্ত্রী সভার মুখপাত্র রতন লাল নাথ। 

 বর্তমানে ত্রিপুরায় বছরে দুধের চাহিদা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩শ' ৫০ মেট্রিক টন এবং রাজ্যে দুধের বার্ষিক উৎপাদন হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২শ' ৭০ মেট্রিক টন। ঘাটতি মেটাতে বর্হি:রাজ্য থেকে প্রতিবছর দুধ আমদানি করতে হয় ৩৭ হাজার ৮০ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, এখন রাজ্যের বেশির ভাগ গো প্রজনন করানো হয় কনভেনশনাল সিম্যান দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে।

 এই পদ্ধতিতে প্রজননের ফলে গরু যে বাচ্চা দেয় এরমধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ বাছুর হয় মেয়ে, বাকি বাছুর গুলো পুরুষ হয়ে থাকে। তাই এবছর থেকে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেক্স সটেড সিম্যান ফর আর্টিফিশিয়াল ইনসিমিনেশন'র মাধ্যমে গাভীর প্রজননের। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে গাভীর প্রজনন করা হবে। এই পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে ৯০ শতাংশ বাছুর হবে স্ত্রী। 

ভারতের কেরালা, হরিয়ানা, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যে এই পদ্ধতিতে গাভীর প্রজনন করা হচ্ছে তাই দুধের উৎপাদন অনেক বেশি হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। এর জন্য মোট খরচ হবে ১৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার রুপি। মোট খরচের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করবে ভারত সরকার এবং ১০ শতাংশ অর্থ দেবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৭৮ হাজার গাভীকে এই পদ্ধতিতে প্রজনন করানো লক্ষ্য মাত্রার নেওয়া হয়েছে। 

২১-২২ অর্থ বছরে ৪৬ হাজার ৮শ' গাভীকে এবং ২২-২৩ অর্থ বছরে ৩১ হাজার ২শ' গাভীকে প্রজনন করানো লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ৩ বছরে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার গাভীকে এ পদ্ধতিতে প্রজনন করানো লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিকে কার্যকর করার জন্য এরই মধ্যে ভারত সরকার ৪ কোটি ২৪ লাখ ৫৩ হাজার রুপি পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই পদ্ধতিতে প্রজননের জন্য প্রতি গাভী পিছু খরচ হবে ৫শ' ১৯ রুপি। যে সকল গোপালক নিজের গাভীকে এই পদ্ধতিতে প্রজনন করাবেন, তাদেরকে গাভী প্রতি মাত্র ৫০ রুপি দিতে হবে এবং বাকি অর্থ দেবে সরকার বলেও জানান মন্ত্রী।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.