জোড়া ধর্ষণে অভিযুক্তকে বাঁচাতে ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ, পুলিশের জালে এই মহিলা সাব ইন্সপেক্টার!


Odd বাংলা ডেস্ক: গুজরাটের আমেদাবাদে এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় অভিযুক্ত না করার জন্য এক ধর্ষণে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছেন ওই মহিলা সাব-ইন্সপেক্টার! ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগে আমেদাবাদ-পশ্চিম মহিলা থানার ইনচার্জ শ্বেতা জাদেজার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলে খবর।

এফআইআর অনুসরে, আমেদাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থার দুই মহিলা কর্মচারী কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টার কেনাল শাহ-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। জানা যায়, এই কেসের তদন্ত চলাকালীন শ্বেতা জাডেজা নামে ওই পুলিশ ইন্সপেক্টার অভিযুক্তের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চান। ধর্ষণে অভিযুক্ত কেনাল শাহের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব অ্যান্টি সোশ্যাল অ্যাকটিভিটিস অ্যাক্ট-এর অধীনে গ্রেফতার না করার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ হিসাবে চেয়েছিলেন! এই আইনের আওতায় শাহের জেল হতে পারত। 

আরও জানা গিয়েছে, সাব ইন্সপেক্টার শ্বেতা অভিযুক্ত কেনাল শাহের ভাই ভবেশের কাছে এই ঘুষের টাকা চান। এরপর দু-পক্ষের দরাদরিতে ২০ লক্ষ টাকায় রফা হয়। অপরাধ দমন শাখার তরফে দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, শ্বেতা জাডেজা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রথমে ২০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছিল তবে পরে ধর্ষণে অভিযুক্তের কাছ থেকে আরও ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ২০ লক্ষ টাকা হাতে পাওয়ার পর বাকি ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে জাডেজা। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টারকে এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.