আপনি কি ট্রেন সফরের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে এই বিষয়গুলি আপনার অবশ্যই জেনে রাখা দরকার


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম দিকের লকডাউন পর্যায়ে ট্রেন চলাচল কার্যত বন্ধ ছিল। এখনও লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল বন্ধই রয়েচে। যার ফলে ব্যপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। তবে সার্বিকভাবে যাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। সারা দেশে এই মুহূর্তে ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ২৩০টি ট্রেন চলছে। তবে এই ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে যাতে করোনা সংক্রমণ ব্যপকভাবে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য রেলের তরফে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যা আপনাদের জেনে রাখা দরকার। 

১) যাঁরা ই-টিকিট কাটবেন, তাঁরা স্টেশনে ঢুকতে পারবেন, সেক্ষেত্রে কোনও পাসের প্রয়োজন হবে না। স্টেশনের বাইরে বেরোতেও ই-টিকিট দেখাতে হবে।

২) ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৯০ মিনিট আগে পৌঁছে যেতে হবে স্টেশনে। সেখানে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। 
৩)থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর উপসর্গহীন অর্থাৎ যাঁদের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ নেই, কেবলই তাঁদেরই ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। ট্রেনে ওঠার আগে হাত স্যানিটাইজ করা, ট্রেনের যাত্রাপথের গোটা সময়ই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৪) ট্রেনে সফরের আগে প্রত্যেক যাত্রীর ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক। 

৫) ট্রেনে যাত্রার সময় রেলের তরফে কম্বল, চাদর বা পর্দা কোনও কিছুই দেওয়া হবে না। 

৬) যাত্রীদের নিজেদেরকেই নিজেদের খাবার ও পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে। 

৭) যাত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, যতটা সম্ভব কম লাগেজ নিয়ে ট্রেন যাত্রা করতে। 

৮) ট্রেনে ওঠার পর ও গোটা যাত্রাপথে যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে এবং গন্তব্যস্তলে পৌঁছানোর পরও সরকারের তরফে জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.