সোনু পঞ্জাবন, যে নারী ১৬৪ তরুণীকে বানিয়েছে পতিতা, অবশেষে গ্রেফতার
Odd বাংলা ডেস্ক: ১২ বছরের মেয়েকেও ছাড়েননি। গীতা অরোরা ওরফে সোনু পঞ্জাবন (৩৯) জোরপূর্বক অল্প বয়সীকেও যৌনকর্মী বানিয়েছেন। আর সেই অভিযোগে ভারতের দিল্লির দ্বারকা আদালত তাকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
কেবল যৌনকর্মী বানানোই শেষ নয়, কমবয়সী মেয়েদের অপহরণ করে মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার কারাদণ্ড শোনানোর পাশাপাশি সোনুকে ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোনুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮, ৩৪২, ৩৬৬এ, ৩৭২, ৩৭৩, ১২০বি ধারায় মামলা করা হয়েছিল। সোনু পাঞ্জাবন ছাড়াও তারর ঘনিষ্ঠ সন্দীপ বেদওয়ালকে সাজা শুনিয়েছে দ্বারকা আদালত।
সন্দীপকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ৬৪ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দিয়েছেন বিচারক। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৬, ৩৬৬এ, ৩৭২, ৩৭৬ ও ১২০বি-র ধারায় মামলা করা হয়েছিল। সোনুকে পকসো আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
২০০৯ সালে ১২ বছরের এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়ে আসেস সন্দীপ। এরপর সীমা নামে এক নারীর কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ওই নাবালিকা পরে সন্দীপের নামে ধর্ষণের অভিযোগ করে।
সীমা নামের ওই নারীর কাছে নাবালিকাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সীমা প্রথম ওই কিশোরীকে যৌনকর্মী হতে বাধ্য করেন। পরে বিক্রি করে দেন সোনু পাঞ্জাবনের কাছে। সোনু একাধিকবার যৌনকর্মী হতে বাধ্য করেন ওই নাবালিকাকে।
পুলিশ বলছে, দেহব্যবসার আগে প্রতিবার ওই নাবালিকাকে মাদক দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখতেন সোনু। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সোনু। ছয় মাস ধরে তাকে ধরার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানায় সোনুর দেহব্যবসার চক্র ছড়ানো ছিল। এই চক্রে আর কারা কারা জড়িত, সে ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Post a Comment