ভয়ঙ্কর! প্রতারণার শিকার, এরপর কতজনকে হত্যা করেছেন নিজেও জানেন না!
Odd বাংলা ডেস্ক: গল্পটা প্রতারণার শিকার হওয়ার পর ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠা এক অপরাধীর। তিনি দিল্লির বাপরোলা এলাকার বাসিন্দা। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লক্ষাধিক টাকা হারিয়ে বসেন। আর সেই অর্থ উসুল করতে নকল গ্যাস এজেন্সির ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল মানুষ মারার খেল।
এখন পর্যন্ত কত মানুষ হত্যা করেছেন তার হিসাব নিজেই রাখতে পারেননি। সিরিয়াল কিলারের অপরাধ দিল্লি শহরতলি ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতেও ডানা মেলে। হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ থেকেও আসতে থাকে খুনের খবর।
অভিযুক্তের নাম দেবেন্দ্র শর্মা। পেশায় তিনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। পুলিশি জেরায় ওই চিকিৎসক অকপট স্বীকার করেছেন, ৫০ জন মানুষকে হত্যা করার পর আর হিসাব রাখেননি তিনি।
আর লাশ লোপাটের কায়দাটা আরো হাড় হিম করা। মৃতদেহ গায়েব করতে নদীতে ভাসিয়ে দিতেন, আর কুমিরে খুবলে খেত সেই দেহ।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি রাকেশ পাওরিয়া জানান, ৬২ বছর বয়সী দেবেন্দ্র আলিগড়ের আদি বাসিন্দা। ১৯৮৪ সালে বিহারের সিওয়ান থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
জয়পুরে জনতা হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক খোলেন। পরে ১৯৯৪ সালে গ্যাস সংস্থার ডিলারশিপ পেতে ১১ লাখ রুপি খরচ করেন। কিন্তু তিনি প্রতারণার শিকার হন। সেই অর্থ উসুল করতে পরের বছরই দেবেন্দ্র আলিগড়ে একটি নকল গ্যাস সংস্থা চালু করেন।
তিনি আরো বলেন, সেই ব্যবসায় গ্যাস সিলিন্ডার জোগাড় করতে সিলিন্ডারভর্তি ট্রাকচালকদের খুন করলেন। আর ট্রাকে থাকা সিলিন্ডার লুট করতেন তিনি।
দেবেন্দ্রকে তখন নকল গ্যাস এজেন্সি চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিন পেয়ে ফের একটি নকল গ্যাস এজেন্সি শুরু করেন। তখনো তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে দেবেন্দ্র কিডনি পাচারকারী গ্যাংয়ে যোগ দেন। জয়পুর, বল্লবগড় ও গুরুগ্রামে ১২৫ জনের কিডনি প্রতিস্থাপন করেন।
রাকেশ পাওরিয়া বলেন, একেকটি কিডনি প্রতিস্থাপনে ৫ থেকে ৭ লাখ রুপি পেতেন দেবেন্দ্র। ২০০৪ সালে গুরুগ্রামের আনমোল নার্সিংহোমে অভিযান চালানো হলে তাকে ধরা হয়। সেই মামলায় দীর্ঘদিন জয়পুরের জেলে বন্দি ছিলেন। কিছুদিন আগে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপর পালিয়ে ছিলেন।
Post a Comment